রাজা দাস, বালুরঘাট: সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ঘিরে যুবককে গণপ্রহার বালুরঘাটে। ভারত বিরোধী পোস্টের মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে বলেই দাবি আক্রান্ত যুবকের। আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে তিনি পালটা অভিযোগ করেছেন থানাতে। মঙ্গলবার দুপুরে বালুরঘাট শহরের কলেজ মোড় এলাকায় ঘটে মারধরের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহরের উত্তর চকভবানী এলাকার বাসিন্দা বছর পঁচিশের সৌম্যদীপ সরকার। কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী তিনি। সৌম্যদীপ দিন কয়েক আগে ছুটিতে বালুরঘাটের বাড়িতে আসেন। এরমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে কাশ্মীরে জঙ্গি হানার ঘটনায় ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে সরব হয় এলাকার কিছু যুবক। এদিন তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে একদল যুবক কলেজ মোড়ে সকলের সামনে মারধরের পাশাপাশি কানধরে ওঠবোস করায়। দীর্ঘক্ষণ নি ডাউন করে রাখা হয় বলে অভিযোগ। বালুরঘাট থানা থেকে মাত্র প্রায় ১০০ মিটারের মধ্যে ওই ঘটনা। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাছ থেকে খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার আইসি ছুটে যান। ঘটনাটি বড় আকার ধারণ করার আগে বালুরঘাট থানার পুলিশ গিয়ে সৌম্যদীপকে উদ্ধার করে আনে। নিগ্রহের অভিযোগে সৌম্যদীপ বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
[সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, চাকরি ছাড়তে বাধ্য হলেন স্কুল শিক্ষক]
এদিন থানায় বসে নিগৃহীত সৌম্যদীপ দাবি করেন, হামলাকারীদের কয়েকজন তাঁর পরিচিত। কাশ্মীরের ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে পোস্টের বিষয়ে ভুল বুঝে এদিন ওরা তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করে বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, সোমবার ওই পোস্টের বিষয় নিয়ে ওরা জানতে চাইলে আলোচনা হয়। ফেসবুকের ওই পোস্ট তাদের দেখিয়ে জানানো হয় দেশবিরোধী কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ওরা ভুল বুঝে অভিযোগ তুলেছে জানিয়ে তখনকার মত মিটমাট হয়ে যায়। কিন্তু এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ফোন করে তাকে কলেজ মোড়ে ডেকে এনে মারধর করা হয়েছে বলে সৌম্যদীপের অভিযোগ। এলাকার কয়েকজন যুবক দাবি করেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরে জঙ্গি হানা নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করে সৌম্যদীপ। পরে পোস্টটি মুছে ফেলেছে। তাতেই ক্ষোভ ছড়ায়। অভিযুক্ত এক যুবকের কথায়, ওকে মারধর করা হয়নি। জনতাই ওই শাস্তি দিয়েছে। বালুরঘাট থানার আইসি জয়ন্ত দত্ত বলেন, নিগৃহীত যুবক কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে।