রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মাত্র সাতদিন আগে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। চিকিৎসক দম্পতির সঙ্গে দিঘায় দিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু গাড়ির চালকের। হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ওই চিকিৎসক দম্পতি ও তাঁদের এক আত্মীয়কে আটক করেছে দিঘা থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
[কাজের টোপে ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে কিডনি পাচার, চাঞ্চল্য বীরভূমে]
বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের গাড়িতে চেপে দিঘায় বেড়াতে আসেন হাওড়ার বাসিন্দা সুজয় দত্ত ও তাঁর স্ত্রী পায়েল। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই পেশায় চিকিৎসক। তাঁদের সঙ্গে এসেছিলেন টিংকু মণ্ডল নামে এক যুবক। তিনি ওই চিকিৎসক দম্পতির আত্মীয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিউ দিঘার হোটেলে দুটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন তাঁরা। রাতে হোটেলের ঘরে মদ্যপান করেন গাড়ির চালক-সহ চারজন। রাতে একটি ঘরে শুয়েছিলেন টিংকু ও গাড়ির চালক অভিজিৎ। অন্য ঘরে সুজয় ও তাঁর স্ত্রী পায়েল। টিংকু মণ্ডলের দাবি, শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। তখন ঘুমোচ্ছিলেন অভিজিৎ। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘরের দরজা ভেঙে গাড়ির চালক অভিজিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সুজয় দত্ত, তাঁর স্ত্রী পায়েল ও টিংকু মণ্ডল নামে ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় পায়েল জানিয়েছেন, রাতে মদ খাওয়ার সময়ে তাঁর গায়ে হাত দিয়েছিলেন অভিজিৎ। ঘটনাটি স্বামীকে জানিয়েছিলেন তিনি। গাড়ির চালককে বকাবকি করেছিলেন সুজয়। তাহলে কি বকাবকির কারণে গলায় দড়ি আত্মহত্যা করলেন অভিজিৎ? নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে? দানা বেঁধেছে রহস্য।
[অমাবস্যার রাতে পরপর আত্মহত্যা, ভূতের আতঙ্কে কাঁটা কালনার বাসিন্দারা]