Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্বপন দেবনাথ

রাজনীতি সরিয়ে সৌজন্য, অসুস্থ প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ককে দেখতে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী

স্বপনবাবুর সঙ্গে দেখা হওয়ায় খুশি মনোরঞ্জনবাবুও।

Minister swapan debnath visited ex MLA Manoranjan Nath's house
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 14, 2019 10:47 am
  • Updated:September 14, 2019 6:25 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: চারবারের সিপিএম বিধায়ক ছিলেন। প্রতিপক্ষকে বরাবর টেক্কা দিয়েছেন। রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছেন তিনি। কিন্তু বার্ধক্যজনিক অসুস্থতার কারণে এখন আর ঘর থেকে বিশেষ বেরতে পারেন না সিপিএমের দাপুটে নেতা মনোরঞ্জন নাথ। কিন্তু মন্ত্রীর সঙ্গে বিধায়কের লড়াই যে শুধুমাত্র রাজনীতির ময়দানে সীমাবদ্ধ ছিল, তা প্রমাণ করলেন স্বপনবাবু।

[আরও পড়ুন:অপরাধের বিচারে স্বয়ং মা, ঝাড়গ্রামের পুজোয় এবারের চমক ‘যমালয়ে জীবন্ত দুর্গা’ ]

অসুস্থ প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ককে দেখতে শুক্রবার সকালে মন্ত্রী সটান হাজির হয়ে যান পূর্বস্থলি-১ ব্লকের জাহান্নগরে মনোরঞ্জনবাবুর বাড়িতে। ফুলের তোড়া হাতে তুলে দিয়ে শারীরিক অবস্থায় খোঁজখবর নেন। একইসঙ্গে মনোরঞ্জনবাবুকে উত্তরীয় ও শাল উপহার দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করেন স্বপনবাবু। রাজনৈতিক সৌজন্যের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার জাহান্নগরের মাধাইপুরে ক্যানসার আক্রান্ত তৃণমূলকর্মী অসিত ঘোষকে দেখতে গিয়েছিলেন স্বপনবাবু। সেখান থেকে ফেরার পথে জানতে পারেন মনোরঞ্জনবাবুও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। এরপরই গিয়ে হাজির হন মনোরঞ্জনবাবুর বাড়িতে। বেশকিছুক্ষণ তাঁর সঙ্গে সময় কাটান রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী।

Advertisement
swpan-2
প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে মন্ত্রী

মনোরঞ্জনবাবু ১৯৭৭, ১৯৮২, ১৯৮৭ ও ১৯৯১ সালে পূর্বস্থলি কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে অবশ্য এই কেন্দ্রটির অস্তিত্ব নেই। মনোরঞ্জনবাবু তন্তুজের পদাধিকারীও ছিলেন একসময়ে। বর্তমানে সেই তন্তুজের চেয়ারম্যান স্বপনবাবু। স্বপনবাবু বলেন, “এদিন দলীয় কর্মীকে দেখে ফেরার পথে প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওঁনার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছি। বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়েছে। আমরা বিরোধী রাজনীতি করলেও সৌজন্য রাখাটা প্রয়োজন।” স্বপনবাবু যাওয়ায় মনোরঞ্জনবাবুও খুশি হয়েছেন। তাঁর ছেলে মনোজকুমার নাথ বর্তমানে কলকাতা রয়েছেন। তিনিও শুনেছেন স্বপনবাবু তাঁর বাবাকে দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি জানান, স্বপনবাবুর সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্কও রয়েছে। তবে মনোজকুমার নাথ বলেন, “এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। এর অন্য কোনও মানে করা উচিৎ নয়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাহিত্য মেলার মঞ্চে চটুল নাচ, বিভূতি স্মরণে অপসংস্কৃতির নজির বনগাঁয়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ