বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: নাবালিকাকে কাজের টোপ দিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ। এই অভিযোগে তিন টোটোচালককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডিবিধির পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিন কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। নক্ক্যারজনক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের তাঁতিপাড়ায়।
[ধর্ষণে বাধা পেয়ে শ্যালিকাকে খুন যুবকের, ক্যানিংয়ে উত্তেজনা]
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তিন অভিযুক্ত টোটোচালক প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যামসুন্দর ঘোষ, নৃসিংহ ঘোষ ওরফে বাপ্পা। পলাতক আর এক অভিযুক্ত প্রভাস ঘোষ ওরফে লালা। লালার খোঁজে তল্লাশি চলছে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ন’তারিখে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে বছর ১৬-র নাবালিকা। তার বাড়ি তেহট্টর গোবিন্দপুরে। স্থানী মালিয়াপোতা থেকে বাস ধরে কৃষ্ণনগরে চলে আসে সে। সেখানে কোতয়ালির সতীশ নগরের টোটোচালক নৃসিংহর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই নৃসিংহই পরে তাকে বন্ধু বাপ্পার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। অভিযোগ, দু’জনে মিলে নাবালিকাকে রান্নার কাজের টোপ দিয়ে বাইকে তোলে। নাবালিকাকে নিয়ে প্রথমে নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জ রেলবাজার ফেরিঘাট পার হয়ে মায়াপুর হুলোরঘাটে যায়। সেখানে কোনও হোটেল ভাড়া না পেয়ে কৃষ্ণনগরে টোটোচালক প্রদীপ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নারকীয় অত্যাচার চালানোর পর নির্যাতিতাকে কৃষ্ণনগর স্টেশনে ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।
[ফেসবুকে ফেক প্রোফাইল তৈরি করে যৌনকর্মী পরিচয়, পুলিশের দ্বারস্থ কলেজ ছাত্রী]
নির্যাতিতার আত্মীয়ের বাড়ি শান্তিপুরে। তাই ট্রেনে চেপে শান্তিপুরে চলে যায় সে। স্টেশনে আলুথালু বেশে নাবালিকাকে বসে থাকতে দেখে পথচারীদের একজন তাকে শান্তিপুর থানায় নিয়ে যান। সেখানে পুলিশকে ঘটনার কথা খুলে বলে নির্যাতিতা নাবালিকা। প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই তাকে নবদ্বীপ থানায় নিয়ে শান্তিপুর থানার পুলিশ। নির্যাতিতার বক্তব্য শোনার পর ১১ তারিখ দুপুরে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। আইসি সুবীর কুমার পালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনার তদন্তে নামে। সূত্র মারফত অভিযুক্তদের হদিশও পেয়ে যায় পুলিশ। শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি থানার তাঁতিপাড়া থেকে প্রথমে টোটোচালক প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্যামসুন্দর ঘোষকে গ্রেপ্তার করে। সতীশনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নৃসিংহ ঘোষ ওরফে বাপ্পাকে। আরও এক অভিযুক্ত প্রভাস ঘোষ ওরফে লালার খোঁজে তল্লাশি চলছে। তিনজন ধৃতকে এদিন আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।