Advertisement
Advertisement
মিষ্টি হাব

বন্ধ হওয়ার মুখে বর্ধমানের মিষ্টি হাব, বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রশাসনের

আইআইটি খড়গপুর থেকে বিশেষজ্ঞরা আসবেন বর্ধমানে।

'Misti Hub' in Burdwan is on the verge Of closing shutter
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 19, 2019 5:02 pm
  • Updated:July 19, 2019 5:02 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান:  মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প বর্ধমানের মিষ্টি হাব কার্যত বন্ধের মুখে। বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক না হওয়ায় বেশিরভাগ দোকানই আর চালাতে চাইছেন না ব্যবসায়ীরা। ঘুরে দাঁড়াতে আইআইটি খড়গপুরের বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। এক সপ্তাহের মধ্যে আইআইটি খড়গপুর থেকে বিশেষজ্ঞরা এসে তাঁদের মতামত জানাবেন বলে খবর। প্রচার, প্রযুক্তিগত সহায়তা-সহ অন্যন্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই কাজ করবে জেলা প্রশাসন। শুধু তাই নয়, মিষ্টির গুণগত মান বজায় রাখতে মিষ্টি হাবে ল্যাবরেটরিও রাখার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

[আরও পড়ুন: অধ্যাপকের শাস্তি চেয়ে পোস্টার, ফের শোরগোল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে]

বর্ধমানের মিষ্টি হাবকে কীভাবে লাভজনক করে তোলা যায়, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের দপ্তরে ব্যবসায়ীদের  ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক বিজয় ভারতী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ছিলেন। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন,  “এই প্রকল্পকে জনপ্রিয় ও লাভজনক করতে খড়গপুর আইআইটির সাহায্য নিচ্ছি আমরা। তাদের পরামর্শ মেনে এটাকে ভালভাবে চালু রাখার জন্য যা যা করার তা করব আমরা।বিপণনের পাশাপাশি প্রচার ও মিষ্টান্ন সামগ্রীর গুণগত মান বজায় রাখা বা বাড়ানোর জন্য আইআইটি-র বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।”  জানা গিয়েছে, অধ্যাপক এইচ এন মিশ্র তাঁর টিম নিয়ে বর্ধমানে আসছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা পরামর্শ দেবেন কী কী করতে হবে মিষ্টি হাবকে লাভজনক করতে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক  বিজয় ভারতী জানান, বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্ট্রেশন পেয়েছে। কিন্তু এর তেমন প্রচার হয়নি। সারা রাজ্যজুড়ে এর প্রচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখানকার মিষ্টি বাইরে রফতানির জন্য প্যাকেজিং করারও প্রয়োজন। সেটা করতে না পারায় ব্যবসায় কিছুটা মার খাচ্ছে।

Advertisement

বর্ধমানে বামচাঁদাইপুরে জাতীয় সড়কের ধারে মিষ্টি হাব তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। এই মিষ্টি হাব থেকে শক্তিগড়ের দূরত্ব বেশি নয়। মিষ্টি হাব তৈরির আগে থেকেই শক্তিগড়ে মিষ্টি ব্যবসা চলছে। সেখানকার মিষ্টিও যথেষ্ট জনপ্রিয়।  অনেকেই মনে করছেন, শক্তিগড়ের মিষ্টি বাজারের জন্য মিষ্টি হাবের ব্যবসা মার খাচ্ছে। মিষ্টি হাবে বিভিন্ন রুটের বাস দাঁড়ানো করানোর আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসন রাজ্য পরিবহণ দপ্তরকে চিঠি দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মিষ্টি হাবে পিৎজা-সহ অন্যন্য খাবারে  স্টল রাখার কথাও ভাবছে জেলা প্রশাসন। উল্লেখ্য,  ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল আসানসোলে একটি প্রশাসনিক সভা থেকে বর্ধমানে এই মিষ্টি হাবের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

ছবি: মুকুলেশুর রহমান

[আরও পড়ুন: শারদীয়ার হালকা গন্ধ, দুর্গাপুজোয় নিখুঁতভাবে পৌরহিত্যের জন্য প্রশিক্ষণ শিবির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ