Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিদিকে বলো

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে গ্রামে সারপ্রাইজ ভিজিট বিধায়কের, ঘরে ঘরে গিয়ে শুনলেন সমস্যা

চটজলদি বেশ কয়েকটি সমস্যার সমাধান করে দেন উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর কুমার পাঁজা।

MLA Samir Kumar Panja visits the villages for Didi K Bolo campaign
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 15, 2019 6:59 pm
  • Updated:September 16, 2019 4:12 pm

সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: পূর্বপরিকল্পনা মাফিক প্রস্তুতি নিয়ে নয়, একেবারে যাকে বলে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’, সেটাই করলেন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর কুমার পাঁজা। চলতি সপ্তাহান্তে আচমকাই গ্রামে ঢুকে জনসংযোগ করলেন তিনি। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পালনে গ্রামে ঢুকে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নিলেন বিধায়ক। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যায়ামবীর তুষার শীল, হাওড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রমেশ পাল, পঞ্চায়েত প্রধান তাপস হাজরা, গোলাম খানরা। গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা শুনে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন বিধায়ক।

[আরও পড়ুন: মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে গণপিটুনি, উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ]

আগাম কোনও বার্তা না দিয়ে আমতার কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সারদা গ্রামে সপার্ষদ বিধায়ককে দেখে সবাই তখন শশব্যস্ত। প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে ঘুরে সকলের অভিযোগ, পরামর্শ মন দিয়ে শোনেন বিধায়ক সমীর কুমার পাঁজা। মানুষের প্রাথমিক চাহিদাগুলি পূরণের জন্য বেশ কিছু তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উন্নয়ন নিয়ে এলাকার মানুষকে অবগত করার পাশাপাশি গ্রামবাসীরা সরকারি পরিষেবা ও বিভিন্ন প্রকল্প থেকে যথাযথভাবে উপকৃত হয়েছেন কি না, তারও খোঁজখবর নেন।

Advertisement

ulu-didik-bolo
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গ্রামবাসীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের মতো করে উত্তর দেন। যাঁরা এখনও কোনও প্রকল্পের আওতায় আসেননি, তাঁদেরও বিভিন্ন প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সমীরবাবু অবগত করেন এবং যত দ্রুত সম্ভব সেইসব প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের আবেদন জানাতে বলেন। কেউ কেউ তাঁকে জানান, রাজ্য সরকার সাধারণ ও গরিব মানুষদের জন্য যে এত রকম প্রকল্প চালু করেছে, সে কথা এর আগে তাঁদের কাছে কেউ জানায়নি। সমীরবাবুর কাছ থেকেই তাঁরা রাজ্য সরকারের এতরকম জনমুখী প্রকল্পের কথা এই প্রথম শুনলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শরিকি বিবাদের রেশ প্রতিবেশীদের উপর, ঢোলাহাটে সংঘর্ষে জখম ৭]

একই সঙ্গে শনিবার ও রবিবার উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ইদ্রিশ আলি খলিসানী অঞ্চলের সামন্ত পাড়ায় জনসংযোগ শুনানির মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের নানান সমস্যা ও অভিযোগের কথা শোনেন। যেসব সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে মেটানো সম্ভব, তা সমাধানের উদ্যোগ নেন। শনিবার তিনি প্রায় ৩০০ জনকে প্রয়োজনীয় শংসাপত্র স্বাক্ষর করে দেন। এরপরে ওই এলাকার দলীয় বুথকর্মী সুকুমার দলুইয়ের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ