অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: রাজনীতি এবার দোলেও। সেখানে ভূত, ব্রহ্মদৈত্যকে সরিয়ে বাজার দখল করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা। দোলের রং কিনতে এলেও এড়াতে পারবেন না লোকসভা নির্বাচনের উত্তাপ। হোলির বাজারেও খড়গপুরে দেখা মেলেনি বাম-কংগ্রেসের। যুযুধান তৃণমূল-বিজেপি।
[বাড়িতেই আয়োজন করে ফেলুন ‘হোলি পার্টি’, রইল ১০টি টিপস]
তবে কোনও বিষয় কিংবা ভাষণ নিয়ে নয়৷ বা কোনও নীতি সংক্রান্ত মতবিরোধকে কেন্দ্র করেও নয়৷ হোলি খেলার সময়ে বাদুড়ে রং থেকে বাঁচতে যে মুখোশ ব্যবহারের চল এসেছে, সেই মুখোশে দ্বৈরথ। বিভিন্ন ধরনের রাক্ষস কিংবা অদ্ভুতুড়ে সব মুখোশের পাশাপাশি দেদার বিকোচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখোশ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ৷ ফলে নির্বাচনের মুখে হোলিকে কেন্দ্র করে এই মুখোশ বিক্রির প্রতিযোগিতা আলাদা একটা মাত্রা এনে দিয়েছে। আগে অনেক নির্বাচন গিয়েছে৷ কিন্তু এইভাবে দেশের প্রথম সারির নেতাদের মুখোশ বিক্রির চিত্র নজরে পড়েনি। বরং নির্বাচনের একেবারে দোরগোড়ায় এই ধরনের মুখোশ পরতে অনেককে দেখা গিয়েছে।
[দোলে ভাং খেলে কমবে যৌনশক্তি!]
তবে এই মুখোশের চাহিদা বেশি রয়েছে প্রধাননমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির, জানালেন রং বিক্রেতা হেমন্ত যাদব। রেলনগরী খড়গপুর শহরের গোলবাজারের ভান্ডারিচক এলাকায় বিভিন্ন ধরনের রংয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন তিনি। তাঁর কাছেই একমাত্র এই ধরনের মুখোশ পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয় এই মুখোশের প্রতি আকর্ষণ তৈরির লক্ষ্যে তিনি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঝেমধ্যেই নরেন্দ্র মোদির মুখোশ একটা পরে বসে থাকছেন। আর পথচলতি মানুষ এই মুখোশ দেখে কেনার জন্য দোকানে ভিড়ও জমাচ্ছেন।
ছবি: সৈকত পাঁজা