শ্রীকান্ত পাত্র ও শান্তনু কর: ফের মোমা আতঙ্ক। জলপাইগুড়ি, কার্শিয়ংয়ের পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে। এই মারণ গেমের শিকার দাসপুরের দশম শ্রেণির এক ছাত্র। তবে পুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ওই কিশোর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তার বাড়িতে যায় পুলিশ। কাউন্সেলিংর পর মোবাইল থেকে মোমো গেমের লিংকটি মুছে ফেলেছে সে।
[ মোমোতে প্রথম মৃত্যু? নয়া গেমের আতঙ্ক পাহাড় থেকে সমতলে]
ব্লু হোয়েল পর এবার মোমো গেম। ফের মারণ অনলাইন গেমের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রাজ্যে। নীল তিমির মতোই মোমো গেমে খেলাচ্ছলে আত্মহত্যারই প্ররোচনা দেওয়া হয়। মঙ্গলবারই মোমো গেমের খপ্পরে পড়েছিলেন জলপাইগুড়ির এক কলেজ ছাত্রী। অচেনা নম্বর থেকে ম্যাসেজ করে এই মারণ গেম খেলার আহ্বান জানানো হয় তাঁকে। রীতিমতো ভয় পেয়ে যান ওই কলেজ ছাত্রী। নম্বরটি ব্লক করে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে বৃহস্পতিবার এক কিশোরের রহস্যমৃত্যুতেও মোমো আতঙ্ক ছড়িয়েছে কার্শিয়ং-এ। এবার সেই তালিকা নাম উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরেরও। মোমো গেমের শিকার দাসপুরের এক কিশোর।
দাসপুরের চাঁইপাট হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সূর্য ধাঁড়া। বাড়ি দাসপুরেরই তেঁতুলতলা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে অচেনা নম্বর একটি লিংক আসে সূর্যর মোবাইলে। কৌতুহলবশত লিংকটিতে ক্লিক করে সে। মোবাইলে ডাউনলোড হয়ে যায় মোমো গেম। এমনকী, অচেনা নম্বর থেকে ফোনও এসেছিল। তবে সেই ফোন ধরার সাহস হয়নি সূর্যের। প্রতিবার লাইন কেটে দিয়েছে ওই কিশোর। কিন্তু, নয়া গেমের আকর্ষণ কী আর এড়ানো যায়! পুলিশের দাবি, বাড়ির সকলের অলক্ষ্যে গভীর রাতে মোবাইলে মোমো গেম খেলতে শুরু করে সূর্য। দুটি ধাপ পেরিয়েও যায়। এদিকে ছেলে যে মারণ গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে, তা টেরই পাননি বাড়ির লোকেরা। কিন্তু, গোপনসূত্রে খবর পৌঁছে যায় দাসপুর থানায়। বৃহস্পতিবার সকালে দাসপুরের তেঁতুলতলায় সূর্য ধাড়ার বাড়ি যায় পুলিশ। শুরু হয় কাউন্সেলিং। শেষপর্যন্ত, ওই কিশোরকে মোমো গেমের কুফল সম্পর্কে বোঝাতে সক্ষম হন পুলিশ আধিকারিকরা। মোবাইল থেকে মোমো গেমের লিংকটি মুছে ফেলেছে সূর্য। স্বস্তিতে পরিবারের লোকেরা।
[ বাংলাতেও ‘মোমো’ চ্যালেঞ্জের থাবা, মারণখেলার খপ্পরে জলপাইগুড়ির ছাত্রী]
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে মোমা গেমের আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে এক কলেজ পড়ুয়াকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র। মঙ্গলবার মোমো গেমে খপ্পরে পড়েছিলেন শহরের এক কলেজ পড়ুয়া। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের সাইবার সেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নিছকই মজা করার জন্য বন্ধু ও পরিচিতদের হোয়াটঅ্যাপে মোমো গেমের নাম করে একটি লিংক পাঠিয়েছিলেন ওই কলেজ পড়ুয়া।