সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুর কাছে হার মানলেন ভাটপাড়ায় গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি। হাসপাতালে মৃত্যু হল গুলিবিদ্ধ বিভূতি ঘোষের। রবিবার রাতে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে মারধরের পর ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। একদিন চিকিৎসা চলার পর মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, লুট নয় অন্য কোনও কারণ রয়েছে এই খুনের পিছনে।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১১ টা নাগাদ কল্যাণী এক্সপ্রেস ওয়ে ধরে বাড়ি ফিরছিলেন বিভূতি ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি। আচমকা তাঁর পথ আটকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, প্রথমে বিভূতিবাবুর গলায় থাকা সোনার চেন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। এরপরই বিভূতিবাবুর মোটর বাইকটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে তারা। অভিযুক্তদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বিভূতিবাবু। এরপরই বিভূতিবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় বাইক থেকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন বিভূতিবাবু। এরপর রাস্তার পাশের ঝোপে বিভূতিবাবুকে ফেলে রেখে চম্পট দেয় আততায়ীরা। স্থানীয়দের নজরে পড়তেই ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কল্যাণীর এমজেএন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বিভূতিবাবু।
কিন্তু গোটা ঘটনায় উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। প্রাথমিকভাবে লুটের উদ্দেশ্যে আক্রমণ বলে মনে করা হলেও পরিবারের দাবি কিছুই খোয়া যায়নি। বিভূতিবাবুর গলার সোনার চেন, হাতের আংটি, দুটি মোবাইল ফোন সব কিছুই রয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি লুটের উদ্দেশ্যে খুন করা হলে কেন অলংকার না নিয়েই চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা? প্রশ্ন পরিবারের। তবে কী বিভূতিবাবুর সঙ্গে কোনও কিছু নিয়ে কি তবে অশান্তি চলছিল অভিযুক্তদের? এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। বিভূতিবাবুর মৃত্যুর খবর পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয় অভিযুক্তদের। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.