Advertisement
Advertisement

Breaking News

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়

তৃণমূলকে রাজ্য থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করার হুঁশিয়ারি রূপার

এনআরসি বাংলায় প্রধান ইস্যু নয়, উলটো সুর বিজেপি সাংসদের।

MP Rupa Ganguly slams TMC at Gandhi Sankalpa Yatra
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:October 20, 2019 6:57 pm
  • Updated:October 20, 2019 6:57 pm

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: স্বচ্ছ ভারত গড়ার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এ কাজ সরকারের একার কাজ নয়। আর সেই স্বচ্ছতা অভিযানে পশ্চিমবঙ্গকে একটু বেশি করে স্বচ্ছ করা প্রয়োজন। এ রাজ্যে প্রতিদিনই খুনোখুনি, রক্তারক্তি চলছে। প্রশাসনিক স্বচ্ছতার বড়ই অভাব। তাই সাফাই অভিযানের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলকেও রাজ্য থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা জরুরি হয়ে পড়েছে। রবিবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিষ্ণুপুরে গান্ধী সংকল্প যাত্রার সূচনা করে এই মন্তব্য করেন রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

সাংসদ এদিন বলেন, পশ্চিমবঙ্গ দেশের অন্যান্য রাজ্যের থেকে ক্রমেই আলাদা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রতিদিনই এখানে খুনোখুনি, রক্তারক্তি হচ্ছে। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বলে কিছুই নেই। তাই পশ্চিমবঙ্গে পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন রয়েছে। মানুষকে একবার অন্তত বাঁচার সুযোগ দিতে হবে। এই স্বচ্ছতা অভিযানের মতো পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলকেও তাই ঝাঁট দিয়ে বিদায় করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বিজেপি নেত্রী এদিনই এনআরসি প্রসঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক কোনও ইস্যু খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই এনআরসি নিয়ে মানুষকে অহেতুক ভয় দেখাচ্ছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকেটের সংকল্প যাত্রাপথে কংগ্রেসের অবরোধ, দু’পক্ষের ধস্তাধস্তিতে অশান্ত শ্রীরামপুর]

দেশের মানুষের আগে অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের প্রয়োজন। তাই সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল এনে আগে দেশের মানুষের প্রয়োজন মেটানোই কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য। দেশের মানুষের পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। আর সেই কাজটাই করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি প্রধান ইস্যু নয়। আসল ইস্যু হল প্রশাসনিক স্বচ্ছতা। যা পশ্চিমবঙ্গে একেবারেই নেই।

Advertisement

এদিন বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনার (পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা) পক্ষ থেকে গান্ধী সংকল্প যাত্রার সূচনা করা হয়। বারুইপুর রোডের জুলপিয়া থেকে আমতলা এবং আমতলা থেকে বাখরাহাট পর্যন্ত এই সংকল্প যাত্রা করা হয়। সুসজ্জিত বিভিন্ন ট্যাবলোর মাধ্যমে গান্ধীজির নানা মতাদর্শ এই সংকল্প যাত্রায় তুলে ধরে বিজেপি। রূপা ছাড়াও এই সংকল্প যাত্রায় অংশ নেন রাজ্য বিজেপির সম্পাদক রীতেশ তিওয়ারি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পশ্চিম ভাগের সভাপতি অভিজিৎ দাস ও জেলা বিজেপি নেতা সুফল ঘাঁটু-সহ কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী ও সমর্থক। ঝাঁটা হাতে এই সংকল্প যাত্রায় জায়গায় জায়গায় সাফাই অভিযান করেন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ