Advertisement
Advertisement

Breaking News

যে কোনও ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড, নয়া আইনের দাবিতে অনশনে যুবক

কোচবিহার জেলাশাসকের অফিসের সামনে অনশনে যুবক।

Need death penalty for any type of rape, Cooch Behar youth goes for hunger strike
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 26, 2018 8:39 pm
  • Updated:October 27, 2018 5:24 pm

সংগ্রাম সিংহ রায় : শুধু নাবালিকা ধর্ষণ নয়, যে কোনও ধর্ষণের ক্ষেত্রেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিতে হবে। নইলে দেশ ধর্ষণমুক্ত হবে না। আইন পাশ করে এই দাবিকে মান্যতা দিতে হবে। নইলে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে অন্নজল স্পর্শ করবেন না। এমনই দাবি তুলে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে আমরণ অনশনে বসলেন কোচবিহারের যুবক রানা তালুকদার। যতদিন কেন্দ্র থেকে আইন পাশ না হয়ে আসছে,  মুখে কিচ্ছুটি তুলবেন না বলেই দাবি যুবকের। বৃহস্পতিবার এমন ঘটনায় রীতিমতো হকচকিয়ে যান জেলাশাসকের দপ্তরের কর্মীরা।

[  রাজ্যের প্রস্তাব মানল কমিশন, পঞ্চায়েত ভোট ১৪ মে ]

Advertisement

এদিন তাঁর দাবিপত্র জেলাশাসকের দপ্তরে জমা দেন ওই যুবক। সেই রিসিভ কপি হাতে নিয়েই তিনি ল্যামিনেশন করিয়ে নেন। তারপর জাঁকিয়ে বসেন অনশন আন্দোলনে। পিছনে টাঙানো ব্যানারে নিজের ছবি। জানা যাচ্ছে, আগে থেকেই তা প্রিন্ট করানো ছিল। ফলে তাঁর সঙ্গে কোনও কথা না বলেই দিব্যি তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাচ্ছেন পথচলতি মানুষ। পরণে সাদা টি–শার্ট,  ব্লু ডেনিম। বুকের দু’দিকে দু’টি জাতীয় পতাকার ছবি আঁকা। ব্যানারে লেখা- ‘জয় হিন্দ’,  ‘মেরা ভারত মহান’ জাতীয় দেশাত্মবোধক স্লোগান। যাঁকে নিয়ে এদিন সকাল থেকে হইচই, সেই রানাবাবু কী বলছেন? তিনি জানাচ্ছেন, “ধর্ষণ সবথেকে বড় ও জঘন্য অপরাধ। পুরুষদের প্রতি মহিলাদের বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাড়িতেও মা-বোন রয়েছে। ফলে ধর্ষকদের চরম শাস্তি চাইছি। মৃত্যুদণ্ড ছাড়া এর কোনও বিকল্প নেই।” কিন্তু অনশন কেন? তিনি  বলছেন, সমাজ সংস্কারের কাজে কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হয়। তাই তিনিই নিজেকে সে কাজে উৎসর্গ করতে চান। কিন্তু টাঙানো ব্যানারে নিজের ভোটার কার্ড নম্বরটিও তুলে দিয়েছেন তিনি। কেন? তাঁর দাবি, দেশের নাগরিকের প্রমাণ দিতেই ওই উদ্যোগ।

Advertisement

IMG-20180426-WA0053

রানার বাড়ি কোচবিহার জেলারই বাণেশ্বরের ইছামারি গ্রামে। বাবা রাসেন্দ্র তালুকদার কৃষিজীবী। পরিবারে একাধিক ভাইবোন। অবস্থাও খুব একটা স্বচ্ছল নয়। তার মধ্যেই কষ্ট করে পড়াশোনা করেছেন। তবে চাকরি পাননি এখনও। দেশে লাগাতার ধর্ষণ ও তার প্রেক্ষিতে আইন প্রণয়ন তাঁর মনে গভীর নাড়া দিয়ে গিয়েছে বলে তিনি জানান। তাই চরম সিদ্ধান্ত না ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত তিনি রোদ-ঝড়-জলে অবিচল থেকে অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান। এদিন নিজের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না জেলাশাসক কৌশিক সাহা। এ বিষয়ে তিনি মুখে কুলুপ এঁটেছেন। যুবকের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়েও সদুত্তর মেলেনি।

[  সিউড়ির দিলদার শেখ খুনের তদন্তে সিট গঠন বীরভূম জেলা পুলিশের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ