Advertisement
Advertisement

জঙ্গলমহলে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কত? খতিয়ে দেখবে জুলজিক্যাল সার্ভে

পুজোর পর শুরু হবে সমীক্ষা।

New servery will be started to know about forest cats
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:August 14, 2018 9:49 pm
  • Updated:August 14, 2018 9:58 pm  

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: পশ্চিম মেদিনীপুরে লালগড়ের জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। দিন কয়েক আগেই আবার খড়গপুর শহরে হায়নার আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। বাঘ না হয় মারা গিয়েছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলে কি আদৌও হায়না, ভাম, বনবিড়াল মতো জন্তু আছে? অবশেষে টনক নড়ল বনদপ্তরের। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া , পুরুলিয়া আর বীরভূম এবং বর্ধমানে এই নিয়ে সমীক্ষা চালাবে জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সমীক্ষা শুরু হবে পুজোর পর।

[ বালির স্তূপ সরাতেই উঠে এল ঝাঁকে ঝাঁকে রুই মাছ! চাঞ্চল্য ছড়াল ঘাটালে]

Advertisement

মানুষের বসতি যতই বাড়ছে, ততই কমছে বনাঞ্চল। খাবারে সন্ধানে লোকালয় ঢুকে পড়ছে হাতি, বাঘের মতো বিভিন্ন প্রজাতির বন্যজন্তুরা। মানুষের সঙ্গে পশুর সংঘাতও বাড়ছে। বেঘোরে প্রাণ যাচ্ছে শিয়াল, ভাম, বনবিড়ালের মতো বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদেরও। বাঁকুড়ার উত্তর বনবিভাগের বনকর্তা ভাস্কর জে ভি জানিয়ছেন, হাতি বা বাঘ নিয়ে সমীক্ষা আগেও হয়েছে। কিন্তু শেয়াল, ভাম, বনবিড়ালের সম্পর্কে কার্যত কোনও তথ্যই নেই বনদপ্তরের কাছে। তাই পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া আর বীরভূম এবং বর্ধমান সমীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমীক্ষা চালাবে জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। পাঁচ জেলার জঙ্গলে বসানো হবে ক্যামেরা ও এক্স-রে মেশিন। গণনার কাজ তো চলবেই, জেলাভেদে জন্তুদের শারীরিক ও অন্য বৈশিষ্ট্যও খতিয়ে দেখবেন সমীক্ষকরা। পুজোর পর শুরু হবে সমীক্ষা। চলবে আড়াই বছর। বনদপ্তর সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে ভারতের কয়েকটি রাজ্যে সরকারিভাবে চিতাবাঘ গণনা হয়। গণনায় ১২ হাজার চিতাবাঘের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। কুকুর বা বিড়াল প্রজাতির প্রাণীদের নিয়ে আগে কখনও সমীক্ষা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই খুশি পশুপ্রেমীরা।

[ ভোজনরসিকদের জন্য সুখবর, দিঘায় উঠল ১০০ টন ইলিশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement