শঙ্কর রায়, রায়গঞ্জ: কড়াইয়ে ভাজা হচ্ছে চপ। তাওয়ায় চাউমিন, এগরোল। তবে এসব মুখরোচক খাবারের আড়ালে ছিল আরও এক মুখরোচক বন্দোবস্ত। ফাস্ট ফুডের দোকানে তেলেভেজার সঙ্গে দেদারে বিক্রি চলচ্ছিল মদ। বহু দিন ধরে এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। শেষ পর্যন্ত পুলিশি অভিযানে তা প্রকাশ্যে এল।
[অজানা চোরের আতঙ্কে তটস্থ বাঁকুড়াবাসী, বিভ্রান্তিতে নাজেহাল পুলিশও]
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার এই ঘটনায় পুলিশ দোকানের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমানে দেশি ও বিদেশি মদ। চোপড়ার কাঁচাকালী এলাকায় বছর চারেক আগে ওই ফাস্টফুডের দোকানটি তৈরি হয়েছিল। এর কিছু দিন পর থেকে ব্যবসা সেভাবে না জমায় মালিক অমিত সিংহ এই অসৎ উপায় নেয়। অভিযোগ এই মদের টানে এলাকার কিছু যুবক ভিড় জমাতে থাকে। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি। দোকানের ভিতরে কেন এত ছেলের জটলা তাতেই স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে দোকান মালিকের সঙ্গে স্থানীয়দের বিস্তর গণ্ডগোল হয়। অনেকেই এর প্রতিবাদ করেছিলেন। তবু দিব্যি স্ন্যাকসের আড়ালে চলতে থাকে মদের কারবার। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য পুলিশকে এই ব্যাপারে জানানো হলেও অজ্ঞাত কারণে দোকানদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা একজোট হয়ে ফের পুলিশের কাছে নালিশ জানালে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বুধবার রাতে পুলিশ ওই দোকানে হানা দেয়। তখন দোকানে চলছিল মদের আসর। হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয় দোকান মালিক অমিত সিংহ। উদ্ধার হয় দেশি, বিদেশি মদ। বিপুল পরিমান ওই মদ পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে।
[পাঁচিল টপকে জেলে উড়ে আসছে মোবাইল! জলপাইগুড়িতে জালের ঘেরাটোপ]
ধৃতকে এদিন আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্থানীয়রা। তাদের বক্তব্য, ওই ফাস্টফুডের দোকানের জন্য এলাকায় মদ্যপ লোকেদের আনাগোনা বাড়ছিল। রাত বাড়লে মদ্যপ ছেলেদের দৌরাত্ম্য ক্রমে বেড়ে যায়। যাদের দেখে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খুবই সমস্যায় পড়ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.