সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিআই প্রাপ্তিতেই মিষ্টতার স্বাদ ফুরোচ্ছে না। বাঙালির পাতে যে খাঁটি রসগোল্লা তুলে দিতে হবে। দামটাও রাখতে হবে সাধ্যমতো। এই উদ্দেশ্যে পছন্দের এই মিষ্টান্নকে সবার কাছে পৌঁছে দিতে চায় রাজ্য সরকার। আর মাস খানেকের মধ্যেই রাজ্য সরকারের তৈরি রসগোল্লা পেয়ে যাবে আমবাঙালি।
[ফেসবুক সহায়, মানসিক ভারসাম্যহীন বোনকে ফিরে পেলেন দাদা]
২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর বাঙালির কাছে ছিল ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সেদিন ওড়িশাকে হটিয়ে রসগোল্লার জিআইয়ের অধিকার পেয়েছিল বাংলা। এরপরই এই মিষ্টিকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করে রাজ্য সরকার। পেটেন্ট পাওয়ার পর নদিয়ার মোহনপুর ও বেলগাছিয়া ক্যাম্পাসে শুরু হয় রসগোল্লার প্রশিক্ষণ। আঠাশজন পড়ুয়াকে রীতিমতো হাতে ধরে শেখানো হয়। একেবারে খাঁটি দুধের তৈরি এই পেল্লাই সাইজের রসগোল্লার দাম রাখা হয়েছে ১০ টাকা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোথায় এবং কবে থেকে মিলবে এই প্রাণের মিষ্টি। রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে দোলের সময় সরকারি রসগোল্লা এসে যাবে বাজারে। কৃষি ও খাদ্য দপ্তরের যে আউটলেট রয়েছে সেখানেই মিলবে এই মিষ্টান্ন। শুধু রসগোল্লা নয়, দুগ্ধজাত আরও অনেক কিছু তৈরি হচ্ছে দুই ক্যাম্পাসে।
[ঘরে জ্বলে না আলো, বাহারি স্মার্টফোন চার্জ দিতে ছুটতে হয় বহু দূর]
প্রাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুগ্ধ প্রযুক্তি বিভাগ বানাচ্ছে ছানা, ঘি, পনির, সন্দেশ, খোয়া ক্ষীর এবং রাবড়ির মতো জিনিসও। ঘি এক কেজির দাম পড়বে ৪৮০ টাকা। ৫০০ ও ২৫০ গ্রামের বোতলেও ঘি মিলবে। পনির আড়াইশো গ্রামের দাম ধরা হয়েছে ৬৫ টাকা। এই প্রকল্পের জন্য ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। প্রজেক্টের ডিন জানান, বাজারে নানা ধরনের রসগোল্লা মিললেও এর মতো খাঁটি কোথাও মিলবে না। যা এই মিষ্টির ইউএসপি। ষোলো আনা খাঁটি এবং সুস্বাদু এই রসগোল্লা বানাতে পেরে উত্তেজিত পড়ুয়ারাও। তাদেরই একজন অনামিকা চট্টোপাধ্যায়। ওই ছাত্রীর কথায়, দুধের স্নেহ জাতীয় অংশ ঠিকমতো ভাগ করে রসগোল্লা বানানো হয়। উপযুক্ত মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে সবসময় নজর দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই রসগোল্লা মিষ্টিপ্রেমীদের মন জয় করবে বলে ধারণা প্রাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের। তারা বলছেন বাজারে যে কোনও ব্র্যান্ডের দোকানে যে রসগোল্লা পাওয়া যায় তার থেকে দাম অনেক কম তাদের এই মিষ্টির। এমনকী স্বাদ এবং মানেও বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকবে।
[মোদি শুধু উইকেটরক্ষকের দিকে তাকান, রান হবে কী করে? বিদ্রুপ রাহুলের]
সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণের ব্যবস্থা এবার নাগালে। নির্ভেজাল তুলতুলে রসগোল্লা কামড় দেওয়ার জন্য তাহলে তৈরি তো।