অর্ণব আইচ: দামী পাথরের ব্যবসার নাম করে বকখালিতে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রৌঢ়াকে ধর্ষণ। সেই সঙ্গে তাঁর এটিএম কার্ডও ছিনিয়ে নিয়েছিল অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের অভিযোগে তপসিয়া থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে রঞ্জিৎ দাস নামে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে। ৪৪ বছর বয়সের ওই ব্যবসায়ী ও তার এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৫৮ বছর বয়সের ওই প্রৌঢ়াকে। ধৃত ব্যবসায়ীর সঙ্গী এখনও পলাতক। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে তার জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী। অভিযুক্তকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই প্রৌঢ়ার দুই ছেলে রয়েছে। তিনি মূল্যবান পাথরের ব্যবসা করেন। সেই সূত্রেই তাঁর সঙ্গে অন্য এক পাথর ব্যবসায়ী রঞ্জিতের সঙ্গে পরিচয় হয়। একই সঙ্গে ব্যবসা করতে শুরুও করেন তাঁরা। এই সুযোগ নিয়ে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ফোন করে জানায়, সে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র সৈকত বকখালিতে এসেছে। এখানে পাথরের ব্যবসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ব্যবসায়ী প্রৌঢ়াকে বকখালিতে ডেকে পাঠায়। এখানেই একটি হোটেলে ব্যবসায়ী উঠেছিল। সেখানেই প্রৌঢ়া এসে ওঠেন।
প্রৌঢ়ার অভিযোগ, হঠাৎই হোটেলের ঘরের ভিতর তাঁর চেয়ে বয়সে ১৪ বছরের ছোট ওই ব্যবসায়ী তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয়। তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তিনি বাধা দেন প্রতিবাদ করে ওঠেন। তখন ওই ব্যবসায়ী তার এক সঙ্গীকে দিয়ে তার সামনেই প্রৌঢ়ার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরও প্রৌঢ়া যাতে মুখ না খোলেন, তার জন্য তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর এটিএম কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়। প্রৌঢ়া কলকাতায় ফিরে আসার পরও ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি। এর মধ্যেই তাঁকে ওই ব্যবসায়ী চিঠি পাঠায়। চিঠিতে তাঁর কাছ থেকে তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়। এর পরই তিনি তপসিয়া থানায় গিয়ে ধর্ষণ, তোলাবাজি, হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন। প্রৌঢ়ার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। তিনি আদালতে গোপন জবানবন্দিও দেন। ধৃত ব্যক্তিকে জেরা করে তার সঙ্গীর পরিচয় মিলেছে। তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.