সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সবে হাঁটতে শিখেছে সে। টলমল পায়ে দিনভর ঘরময় ছুটে বেরায়। চলন্ত ট্রেনে সেই শিশুকে আগলে রাখবেন বাবা-মা সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাবা-মায়ের চূড়ান্ত গাফিলতিতে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। চলন্ত ট্রেনে খেলতে খেলতে কখন দরজার কাছে চলে গিয়েছিল একরত্তি তা জানতেই পারেননি বাবা-মা। হাওয়ার টানে পাল্লা রোড স্টেশনের কাছে খুদে নিচে পড়ে যেতেই সম্বিত ফিরল পরিবারের সদস্যদের।
জানা গিয়েছে, হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী বিজয় চৌধুরি শুক্রবার রাতে লোকাল ট্রেন যাচ্ছিলেন বর্ধমান। সেখান থেকে প্রতাপ এক্সপ্রেস ধরে তাঁদের রাজস্থান যাওয়ার কথা ছিল। সঙ্গে ছিলেন বিজয়বাবুর স্ত্রী সীমা, মা, দেড় বছরের ছেলে, এক আত্মীয় ও ওই শিশুকন্যা। ট্রেনটি পাল্লারোড স্টেশন ছাড়ার পরই আচমকা ওই শিশুকন্যা ট্রেন থেকে পড়ে যায়। তখন কান্নাকাটি জুড়ে দেন পরিবারের লোকজন। ট্রেন পরবর্তী স্টেশন শক্তিগড়ে থামলে তাঁরা নেমে পড়েন। আরপিএফ-এর সহায়তা টর্চ নিয়ে রেললাইন ধরে তাঁরা শিশুকন্যার খোঁজ করেন। প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির মাথায়, মুখে ও শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাত লেগেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ওই একরত্তি মেয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ল কীভাবে? সেক্ষেত্রে উত্তর একটাই, বাবা-মায়ের চূড়ান্ত গাফিলতি। আরপিএফ থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স সকলেই ঘটনার জন্য বাবা-মায়ের গাফিলতিকে দায়ী করছেন। যদিও এবিষয়ে এখনও শিশুটির পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.