ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: পঞ্চম শ্রেণিতে ভরতিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বারাসতের কালীকৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয়। ওই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়াদের পঞ্চম শ্রেণিতে ভরতি নেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে স্কুলের গেটে তালা দিয়ে দেন অভিভাবকরা। তাতে কাজ না হওয়ায় ৩৪ ও ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বারাসত থানার পুলিশ।
পঞ্চম শ্রেণিতে ভরতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যা চলছে বারাসতের কালীকৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয়ে। অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়াদের পঞ্চম শ্রেণিতে ভরতির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার না দিয়ে লটারির মাধ্যমে অন্য পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়া হয়েছে। যার ফলে ওই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের একাধিক ছাত্রী পঞ্চম শ্রেণিতে ভরতি হতে পারেনি। অভিভাবকদের দাবি, অবিলম্বে তাদের ভরতি নিতে হবে। এ দাবি জানিয়েই মঙ্গলবার সকাল থেকে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। প্রধান শিক্ষিকা ও সহ-শিক্ষিকারা স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। দফায় দফায় বচসায় জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ।
স্কুল কর্তৃপক্ষের কথায়, নিয়ম অনুযায়ী স্কুলের ১ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে বসবাসকারী যে সকল পড়ুয়া পঞ্চম শ্রেণিতে ভরতির জন্য আবেদন জানায়, তাদের মধ্যে লটারি করা হয়। সেই লটারির ফলাফলের ভিত্তিতেই ভরতি নেওয়া হয়। সেই নিয়ম মেনেই এবছর ইতিমধ্যেই লটারির মাধ্যমে ৬৯ জন পড়ুয়াকে ভরতি নেওয়া হয়েছে। ফলে কোনওভাবেই বিক্ষোভরত অভিভাবকদের দাবি মেনে নতুন করে ভরতি নেওয়া সম্ভব নয়, সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলের তরফে। এরপরই নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগস্থল বারাসতের ডাকবাংলো মোড় অবরোধ করেন অভিভাবকরা। প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় বসে বিক্ষোভে শামিল হয় পড়ুয়ারা। ফলে আটকে পড়ে একাধিক বাস ও গাড়ি। সড়ক পথে কলকাতা থেকে বনগাঁ ও হাসনাবাদের যোগাযোগ ব্যাহত হয়। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বারাসত থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিভাবকদের কথায়, তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত বিক্ষোভ জারি থাকবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.