আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: নিমতাকাণ্ডে এই প্রথম একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বিশাল মারু নামে ধৃত ওই যুবকের নাম ছিল এফআইআর-এ। শুক্রবার থেকে আটক করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেপ্তার করা হল বিশালকে। ধৃত এই যুবক মূল অভিযুক্ত প্রিন্সের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাকে জেরা করেই প্রিন্সের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাঞ্জন খুনের পরই তাঁর মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। ওই মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করে পুলিশ বুঝতে পারে ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন হতে হয়েছে দেবাঞ্জনকে। মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে প্রিন্স নামে এক যুবকের নাম। প্রিন্সের কোনও খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। ওই প্রিন্সেরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিশাল মারু। পুলিশের দাবি, খুনের পরেও প্রিন্সের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বিশালের। গা ঢাকা দেওয়ার আগে প্রিন্সের আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করেছিল ওই ধৃত যুবক। তাকে জেরা করেই মূল অভিযুক্ত প্রিন্সের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলেই অনুমান পুলিশের।
এদিকে, পুলিশ মূল অভিযুক্ত প্রিন্সের খোঁজ শুরু করেছে। বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ ও নিমতা থানার পুলিশ আটটি দলে ভাগ হয়ে তার খোঁজ চালাচ্ছে। শুক্রবার রাত থেকে দমদম, সল্টলেক, লেকটাউন-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রিন্সের দাদা দীপক সিংকে নিয়ে আত্মীয়র বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন নবমীর রাতে সল্টলেকের একটি পাবে পার্টি করেছিলেন দেবাঞ্জন এবং তাঁর বন্ধুবান্ধবরা। সেখানে ছিলেন দেবাঞ্জনের প্রেমিকা তৃষাও। ওই পাবেও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। পার্টি চলাকালীন কারও সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল কি না, তা জানতে ওই পাবের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। কারা ওই পাবে ছিল সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে পুলিশ তাদের শনাক্ত করেছে। ইতিমধ্যে এফআইআরে নামও রয়েছে ওই কুড়িজনের। তাদের দফায় দফায় থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে, শনিবারই দ্বিতীয়বার দেবাঞ্জনের গাড়ির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। দুটি দলে ভাগ হয় ফরেনসিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যাবেন, সেখানে গিয়ে গাড়ির অবস্থা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.