Advertisement
Advertisement

ডুয়ার্সে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট, সাসপেন্ড ২ ইঞ্জিনিয়ার

পুরুলিয়ায় বদলি করা হয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আরএম কল্যাণকুমার মাইতিকে৷

power cuts issue, three senior executives officer face a punishment
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 2, 2018 7:28 pm
  • Updated:November 2, 2018 8:00 pm

অরূপ বসাক, মালবাজার: ডুয়ার্সের মুখ্যমন্ত্রীর বাংলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির দুই কর্তাকে সাসপেন্ড করল রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর৷ পুরুলিয়ায় বদলি করা হয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আরএম কল্যাণকুমার মাইতিকে৷ মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোয় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনদিনের মধ্যে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও জারি হয়৷ বৃহস্পতিবার রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের একটি উচ্চপদস্থ দল ডুয়ার্সের টিলাবাড়িতে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেন৷

[প্রেমে আপত্তি মেয়ের পরিবারের, যুবককে পিটিয়ে খুন]

সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে বিদ্যুৎ নিগমের কর্তাদের দেখেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোর পাশেই একটি পাখির দেহাবশেষ পড়ে রয়েছে৷  নজরে আসে৷ প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, টিলাবাড়ি পর্যটন কেন্দ্রের বিদ্যুৎবাহী তারে মঙ্গলবার কোনওভাবে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মৃত্যু একটি পাখির৷ পরে দেহটি তারের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়ে ছুঁয়ে ফেলে লোহার খুঁটির সঙ্গে৷ বিদ্যুতের তার ও লোহার বাতিস্তম্ভের সঙ্গে পাখির দেহের সংযোগ হওয়ার কারণে মঙ্গলবার রাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে৷ অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক না হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট জমা পড়ে৷ বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালবাজারের ডিভিশনাল ম্যানেজার শান্তা রায় ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (টেকনিকাল) আবদুল সামিনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ রিজিওনাল ম্যানেজার কল্যাণ কুমার মাইতিকে পুরুলিয়ায় বদলি করা হয়েছে৷

Advertisement

[থানায় ডেকে নগ্ন ছবি তুলেছে পুলিশ! অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা দুই ছাত্রের]

Advertisement

“আমি থাকতেই যদি চারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে, তবে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে সেটা কতবার হতে পারে!” বুধবার জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে ঠিক এভাবেই প্রশ্ন তুললেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য তিনি বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কর্তাদের কার্যত তুলোধোনা করেন। কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও জানিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি জানতে চাই গোটা রাজ্যে বিদ্যুৎ বণ্টনের কী অবস্থা।” তিনদিনের মধ্যে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

[অতিরিক্ত উৎপাদন, জবার উচিত দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা]

চারদিনের সফরে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার কোচবিহারে যান। সেখানে মঙ্গলবার একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। বেলা দুটো পর্যন্ত কোচবিহারেই ছিলেন তিনি। কোচবিহার থেকে ডুর্য়াসে যান মুখ্যমন্ত্রী। রাতে ডুয়ার্সের মেটেলির একটি টুরিস্ট কমপ্লেক্সে ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই বাংলোয় চারবার লোডশেডিং হয় বলে জানা গিয়েছে। বিকেলে ডুয়ার্সে ফিরে মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন, ওই দিন কার্শিয়াংয়ে এক সভায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকেও বিপাকে পড়তে হয়েছে৷ বুধবার ডুয়ার্সে প্রশাসনিক বৈঠকে এক শিল্পোদ্যোগী বিদ্যুৎ বিলের প্রসঙ্গ তুলে ধরতে মমতা নিজেই বলেন, “বিদ্যুৎ নিয়ে এত অভিযোগ কেন?” এরপরই মঙ্গলবার কোচবিহার ও কার্শিয়াংয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রসঙ্গ টেনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কর্তাদের রীতিমতো ধমকের সুরে বলেন, “সরকার থেকে এত টাকা ভর্তুকি দেওয়ার পরও কেন বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি ঠিকমতো কাজ করছে না? দেখভালের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। কাজে অবহেলা হচ্ছে। না হলে এসব হতে পারে না। সমস্ত বিষয় আমি জানতে চাই।” তখনই মুখ্যসচিবকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ