Advertisement
Advertisement

Breaking News

উপযুক্ত মেশিন নেই, তবু সিউড়িতে মিলছে ধোঁয়া পরীক্ষার সংশাপত্র!

১৩ আগস্ট পর্যন্ত সিউড়ির সব ধোঁয়া পরীক্ষা গুলিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল প্রশাসন।

Problem in pollution control machine
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:August 5, 2018 8:34 pm
  • Updated:August 5, 2018 8:34 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দূষণ পরীক্ষার যন্ত্র নিজেই বেঠিক। ফলে আগামী ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সিউড়ির সব ধোঁয়া পরীক্ষাকেন্দ্র গুলিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন। জেলাশাসকের দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে আগামী ১৩ আগস্ট শহরের ধোঁয়া পরীক্ষাকারী সংস্থার মালিকদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, জেলা সদরে সমীক্ষায় সব ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি ফেল করেছে। তাদের সংশোধনের সময় দেওয়া হবে। তারপরেও নিজেরা না পালটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্যবসায়ী তাদের পুরনো মেশিন বদলে নতুন মেশিন আনার বরাত দিয়ে দিয়েছেন।

ঘুম ভাঙতেই বিছানায় বিষধর সাপের সাক্ষাৎ! তারপর… ]

Advertisement

সারা দেশে ইউরো ফোর মডেলের গাড়ি চলছে। এদিকে শহর জুড়ে ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ মেশিন আছে ইউরো থ্রি। স্বভাবতই যথাযথ পরীক্ষা হচ্ছে না। তাছাড়া বেশিরভাগ কেন্দ্রেই গাড়ির ধোঁয়া পরীক্ষা ছাড়াই ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে তার শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে কমবেশি সর্বত্রই এই ছবি। রাজ্য দূষণ পর্ষদের পক্ষ থেকে সিউড়ি সদরের পাঁচটি নথিভুক্ত কেন্দ্রে সমীক্ষা চালান হয়। যার মধ্যে একটি কেন্দ্রও পাশ করতে পারেনি। ফেলের কারণ হিসাবে জেলা প্রশাসনের কাছে দেওয়া পর্ষদের রিপোর্ট পেয়ে চক্ষু চড়ক গাছ পরিবহন দপ্তরের। সিউড়ির একটি পেট্রল পাম্পে আদৌ কোনও ধোঁয়া পরীক্ষার মেশিন ছিল না। অথচ তারা বিশুদ্ধ হাওয়ার শংসাপত্র দিয়ে যেত। যদিও বিষয়টি সামনে আসতে মেশিন খারাপের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়ে আপাতত জনরোষ ও প্রশাসনের খপ্পড় থেকে বেঁচেছে পেট্রলপাম্পটি।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পুলিশের জালে কুখ্যাত জমি মাফিয়া, থানায় তাণ্ডব অনুগামীদের ]

তবে দূষণ পর্ষদের সমীক্ষক দল পাঁচটি কেন্দ্রকেই আর নবীকরণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ হিসাবে তারা জানিয়েছেন, কোনও কেন্দ্রের যথাযথ কাগজ নেই। আধুনিক মডেলের মেশিন নেই। যেসব সংস্থার মেশিন উপযুক্ত, তারও কোনও কাগজপত্র নেই। বিশেষ করে তাঁরা অবাক হয়েছেন মেশিন না থাকা সত্বেও কি করে শংসাপত্র দিচ্ছিল সংস্থাটি। জেলা পরিবহন সূত্রে জানা গিয়েছে ছোট গাড়ির কিছুটা হলেও ধোঁয়া পরীক্ষা হয়। ডিজেল চালিত কোনও ট্রাক, লরির আদৌ পরীক্ষা হয় না। কিন্তু সকলেরই পরিবেশ দপ্তরের শংসাপত্র দেওয়ার ছাড়পত্র আছে। জেলা পরিবহণ আধিকারিক সন্দীপ সাহা জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকলকেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৩ আগস্ট তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। যদিও ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রের মালিকরা জানান, না জানিয়ে সমীক্ষক দল আসায় তাদের কাগজপত্র দেখানো যায়নি। একটি কেন্দ্রের মালিক প্রসেনজিৎ মণ্ডল ওরফে ভিম বলেন আমরা ইউরো সেভেন মডেলের মেশিন বসাতে চলেছি। এবার অতি উচ্চ মানের মেশিন বসিয়েই দূষণের পরিমাপ করা হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ