রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: শাঁখা সিঁদুর পরে স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক কলেজ ছাত্রী। অবস্থা বেগতিক বুঝে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে চম্পট দিল অভিযুক্তের পরিবার। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তেহট্ট থানার বেতাই দক্ষিণ জিৎপুরের।
কলেজ পড়ুয়া সুমনা দরানি নামে ওই তরুণী জানান, গ্রামেরই বাসিন্দা সুজন সরকারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক তাঁর। কয়েক মাস আগে স্থানীয় এক মন্দিরে প্রেমিক সুজন বিয়েও করে তাঁকে। বর্তমানে তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু দেখা নেই প্রেমিকের। তাই বাধ্য হয়ে স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে মঙ্গলবার সুজনের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে তরুণী। তাঁকে দেখেই বাড়িতে তালা দিয়ে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তের পরিবার। যদিও নিজের দাবিতে অনড় ওই ছাত্রী। তিনি জানান, যতক্ষণ ঘরের দরজার তালা না খুলছে, ততক্ষণ ওখানেই বসে থাকবেন তিনি।
তরুণীর বাবার কথায়, “আমার মেয়ে ওই ছেলেটির বাড়িতে ধরনায় বসেছে। আমি চাই মেয়েকে ওই পরিবার বধূ হিসাবে মেনে নিক। না হলে মেয়ে ওখানেই বসে থাকবে।” এ বিষয়ে প্রেমিকের মা মমতা সরকার বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না। প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে কোথায় কী করেছে আমার জানা নেই। ঘটনার পর থেকে ছেলে বাড়িতে নেই। ছেলে বাড়ি ফিরলে সিদ্ধান্ত নেবে।” জানা গিয়েছে, লকডাউনের মাঝে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সুমনার সঙ্গে সহবাস করে সুজন। এরপর বিয়ের জোর করতেই বেঁকে বসে। ২২ জুলাই তরুণী প্রেমিকের বাড়িতে ঘটনার কথা জানাতে গেলে বাড়ি থেকে সকলেই পালিয়ে যায়। ওই দিন রাতে পুলিশের মধ্যস্থতায় বাড়ি ফেরেন সুমনা। ঠিক হয় ২৩ জুলাই থানায় দুই পরিবারের সামনে এর মীমাংসা হবে। অভিযোগ, ওই দিন সুজনের পরিবার থানায় যায়নি। এরপরই তরুণীর পরিবারের চার জনের নামে অভিযোগ জানায়। হাই কোর্ট থেকে জামিনও মেলে। সেই থেকেই বেপাত্তা প্রেমিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.