Advertisement
Advertisement

টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত রোশনীর পাশে পড়ুয়ারা

মানবিকতার নজির মেমারিতে।

Students help brain tumor patient with pocket money
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:September 28, 2018 5:43 pm
  • Updated:September 28, 2018 5:43 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ছোট্ট রোশনী। কঠিন রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন দিনমজুর বাবা-মা। খটনার কথা জানতে পেরেই এলাকার একটি স্কুলের পড়ুয়ারা সঙ্কল্প নিয়েছিল পাশে দাঁড়ানো। টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে একটু একটু করে জমানো টাকা রোশনীর পরিবারের হাতে তুলে দিল তারা। পড়ুয়াদের ডাকে সাড়া দিয়ে রোশনীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্কুলের শিক্ষকরাও। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার সোঁতলা মহিষডাঙা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের তরফে সাহায্য তুলে দেওয়া হয়।

[ মুখ ফিরিয়ে রেল, স্টেশনে পড়ে থাকা অসুস্থ বৃদ্ধাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা স্থানীয়দের]

Advertisement

ওই এলাকাতেই বাড়ি পেশায় দিনমজুর শিবশঙ্কর কর্মকার ও মিনতি কর্মকার। তাঁদের বছর ছয়ের মেয়ে রোশনী। গত বছর স্কুলে ভর্তি হয়েছিল সে।কিন্তু দিন কয়েক পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে রোশনী। শুরু হয় চিকিৎসা। চিকিৎসা চলাকালীনই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে বছর ছয়েকের মেয়েটি। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। পরবর্তীতে যা ক্যানসারে পরিণত হয়। ব্রেন টিউমারের অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি বর্ধমান বা কলকাতার চিকিৎসকরা নিতে চাননি। শিবশঙ্করবাবু জানান, শেষপর্যন্ত মেয়েকে তাঁরা বেঙ্গালুরু নিয়ে যান। সেখানে একটি হাসপাতালে দু’বার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয় ওই শিশুর। রোশনীর মাথার ক্ষরিত রস নিঃসরণের জন্য পেটের ভিতর দিয়ে পাইপ নিয়ে গিয়ে মূত্রনালীর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে কলকাতার টাটা ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারে চিকিৎসা চলছে রোশনীর। নিয়মিত রে নিতে হবে। খরচপ্রায় ২ লক্ষ। রোশনীর মা মিনতিদেবী জানান, তাঁরা দিনমজুরি করে সংসার চালান। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগাড় করা তাঁদের পক্ষে কোনওভাবেই সম্ভব নয়। বাড়ি বাড়ি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

মহিষডাঙা স্কুলের পড়ুয়ারা রোশনীর কথা জানতে পেরে টিফিনের খরচ বাঁচানো শুরু করে। স্কুলের শিক্ষকরাও তাদের পাশে দাঁড়ান। প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুণ্ডু বলেন, “আমাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা রোশনীকে জীবনদানের অঙ্গীকার করে পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে। এদিন সবমিলিয়ে হাজার দশেক টাকা রোশনীরা দিদিমা গীতা কর্মকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।” রোশনীর চিকিৎসায় আরও অনেক টাকার প্রয়োজন। তার জন্য সহৃদয় ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এই স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। প্রয়োজনে শিবশঙ্করবাবুর মোবাইল নম্বর (৯৯৩২২৪৮০৮৫) নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য পড়ুয়ারা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারও করছে বলে জানা গিয়েছে।

ছবি: মুকুলেসুর রহমান

[ আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ কুষ্ঠরোগীর নাম, আউশগ্রামে চাঞ্চল্য

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ