সুব্রত বিশ্বাস: করোনা পরিস্থিতিতে ট্রেন চলাচল প্রায় বন্ধ। এসময়ে রেল সুরক্ষা, সৌন্দর্যায়ন, স্বাচ্ছন্দ্যের যাবতীয় কাজ করে নিচ্ছে। কিন্তু বেলুড় স্টেশনের আন্ডারপাসটি মরণফাঁদ হয়ে থাকলেও তা মেরামতির করছে না রেল বলে অভিযোগ।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, সারা বছর প্রায় সময়ই জলে ডুবে থাকে ওই আন্ডারপাসটি। দু’ধারের নালা বিপজ্জনক ভাবে ভেঙে গিয়েছে। সিঙ্গল লেনে চলতে গিয়েও ছোটো গাড়ি থেকে দু’চাকার যান দুর্ঘটনায় পড়ছে। প্রাণহানিও হয়েছে বলে অভিযোগ। হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান সোমবার এবিষয়ে অভিযোগ পেয়ে আন্ডারপাসের ছবি চেয়ে পাঠান। মেরামতির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এদিকে, বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেলুড় মঠের মতো ঐতিহ্যশালী পুণ্য ভূমিতে দেশ বিদেশে থেকে প্রচুর ভক্ত আসেন। হাজার হাজার বাসিন্দা নিত্য যাতায়াত করেন আন্ডারপাস দিয়ে। জলে ডুবে থাকা ও ভাঙাচোরা রাস্তা ব্যবহার করতে গিয়ে পড়ে আহত হচ্ছেন। বাসিন্দাদের দাবি, এই সময়ে সামান্য নজর দিলে এতদিনে হাল ফিরত আন্ডারপাসটির।
তব রেলের বিরুদ্ধে পরিকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর আগে এলাধিকবার লিলুয়া-সহ অন্য রেল আবাসনগুলিতে মেরামতির কাজে গাফিলট্রি অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া, এর আগে অভিযোগ উঠেছিল যে করোনা আবহে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে জলের চাহিদা বাড়লেও ন্যূনতম জোগানটুকু নেই বেলুড় স্ক্র্যাপ ইয়ার্ড ও এলসিডির মতো কর্মব্যস্ত রেল ডিপোগুলিতে। ডিপোগুলিতে পানীয় জল থেকে হাত ধোয়ার জল, সব ক্ষেত্রে রয়েছে অভাব। দেড় থেকে দুশোর মতো কর্মী কাজ করেন সেখানে। ঠিকাদার, নিলামদার ও তাঁদের লোকজন মিলিয়ে দৈনিক সেই সংখ্যা পৌঁছে যায় শ’পাঁচেক লোকে। কিন্তু তা সত্বেও দীর্ঘদিন ধরেই জল সংকট চলছে। প্রয়োজনের তুলনায় জলের কল কম। সব সময় জলের জোগান থাকে না। কর্মীদের অভিযোগ, জলের জোগান দেওয়ার পাইপ, পাম্প, ভাল্ব সবই ব্রিটিশ আমলে। ফলে সেগুলি ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পরিবর্তন না করায় সমস্যা থেকে গিয়েছে। সমাধানের আশ্বাস দিয়েও আধিকারিকদের উদাসীনতায় কোনও কাজ হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.