Advertisement
Advertisement

Breaking News

সোনারপুরে ব্যবসায়ীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার, মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা

এলাকায় চাপা উত্তেজনা।

Suspicious death of a man

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 15, 2018 10:02 am
  • Updated:December 15, 2018 10:02 am

দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাতসকালে এক ব্যবসায়ীর গলাকাট দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য সোনারপুরে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল কামালগাজি-বারুইপুর বাইপাস এলাকায়৷ শুক্রবার সন্ধে থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি৷ খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷ সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে৷

[সাড়ে ৮৪ লক্ষ টাকার কয়েন সরিয়ে গ্রেপ্তার ব্যাংক আধিকারিক]

সোনারপুরের ধামাইতলার বাসিন্দা কমল বৈদ্য শুক্রবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরোন৷ এলাকার বিভিন্ন দোকানে হার্ডওয়ারের জিনিসপত্র সরবরাহ করতেন বছর পঁয়ত্রিশের কমল৷ স্ত্রীর থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে ওইদিন বাড়ি থেকে বেরোন তিনি৷ সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ শেষবার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কমল৷ পরিজনদের দাবি, এরপর ফোন সুইচড অফ হয়ে যায় তাঁর৷ আর কোনওভাবেই কমলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি৷ রাতে বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি৷ শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে কামালগাজি-বারুইপুর বাইপাসের কাছে কমলের গলাকাটা দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা৷ খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়৷ দেহের পাশ থেকে টুপি, জুতো এবং একটি লাইটার উদ্ধার করা হয়েছে৷

Advertisement

[বৃদ্ধাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিল ‘গুণধর’ নাতি]

দোকানে দোকানে হার্ডওয়ারের জিনিসপত্র সরবরাহের পাশাপাশি জমির দালালিও করতেন কমল৷ নিহতের স্ত্রীর দাবি, মাসছয়েক আগে কয়েক হাজার টাকা ধার করেছিলেন তিনি৷ সেই টাকা শোধ করতে পারছিলেন না৷ তা নিয়ে অশান্তি চলছিল৷ এরই মাঝে টাকা ফেরত দিতে যাচ্ছেন বলেই গতকাল বাড়ি থেকে বেরোন কমল৷ স্ত্রীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েও যান তিনি৷ তারপর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান৷ নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ, আর্থিক বিবাদের জেরে খুন করা হয়েছে কমলকে৷ তবে কে বা কারা খুন করল তাঁকে, সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছেন না নিহতের স্ত্রী৷

Advertisement

[অগ্রহায়ণ শেষে দুর্গাপুজোর আনন্দে মাতল মঙ্গলকোটের গ্রাম, কেন জানেন?]

গলার নলি কেটে কমলকে খুন করা হয়েছে হয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের৷ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এলেই কীভাবে খুন করা হয়েছে তাঁকে সে বিষয়টি জানতে পারবে সোনারপুর থানার পুলিশ৷ তবে খুনের কারণ এবং কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা৷ তদন্তে নেমে নিহতের পরিজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা শুরু করেছে পুলিশ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ