সৈকত মাইতি, তমলুক: বউদিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বড়িশা রেলকলোনি এলাকার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷
[বিপদসীমা বোঝাতে দিঘার সমুদ্রে বেলুন ভাসাবে প্রশাসন]
নির্যাতিতা ওই তরুণী কোলাঘাটের বড়িশা রেলকলোনি এলাকার বাসিন্দা৷ বছর দশেক আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাসিন্দা সূর্যকান্ত পড়িয়ার। তাঁদের ছয় বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। এমন অবস্থায় স্বামীরই এক মাসতুতো ভাই সঞ্জীব সাউয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে দাম্পত্য অশান্তিও শুরু হয় ওই গৃহবধূর৷ বাধ্য হয়ে বাপেরবাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি৷ আর সেখানেই নিয়মিত যাতায়াত শুরু করে অভিযুক্ত সঞ্জীব। বর্তমানে সে ডিএলএড পাশ করে প্রাথমিকে শিক্ষকতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে৷
[এবার ভেজাল হলুদ কারখানার হদিশ ফরাক্কায়, গ্রেপ্তার এক]
প্রেমের টানে সাড়া দিয়ে ডেবরা থেকে কোলাঘাটে রেলকলোনিতে যায় অভিযুক্ত যুবক। তখনই ওই যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দেন বছর তেত্রিশের ওই মহিলা৷ মহিলার অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাস করা হয়েছে। এর জেরেই এখন ওই মহিলা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সন্তানের দায় নিতে অস্বীকার করেন অভিযুক্ত যুবক। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কোলাঘাট বিট হাউস থানার পুলিশ৷ উত্তেজিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা৷ মারমুখী জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে ওই যুবককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরে, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত৷ অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাইকপাড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠিয়েছে কোলাঘাট থানার পুলিশ।