Advertisement
Advertisement

ছেলের মৃত্যুর তদন্তের দাবি, মায়ের অভিযোগে কবর থেকে তোলা হল দেহ

ছেলের মৃত্যু পিছনে বাবার যোগ? তদন্তে পুলিশ।

Teen's body dig from grave
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 20, 2019 8:03 pm
  • Updated:February 20, 2019 8:03 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: ছেলের রহস্যমৃত্যুর তদন্তের দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ মা। মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ডেপুটি ম্যজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠাল পুলিশ। কবর থেকে তোলার পর দেহটি শনাক্ত করেন মৃত যুবকের মা পাপিয়া মণ্ডল।

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ বছর আগে বনগাঁর বাসিন্দা পাপিয়া মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় বাগদার আষাঢ়ুর বাসিন্দা শাহজাহান মণ্ডলের। তবে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করে ওই দম্পতি৷ ছোট থেকেই সুমন থাকত তার মায়ের সঙ্গে। সূত্রের খবর, অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল শাহজাহান। সেই কারণে দীর্ঘদিন ছেলের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল না তার। তবে কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় বাবা-ছেলের সম্পর্ক।

Advertisement

বাবার সহযোগিতায় মাস আটেক আগে পুনেতে কাজে যান বছর ১৭-এর সুমন। অভিযোগ, ছেলে কাজে যাওয়ার পর থেকেই টাকার জন্য ছেলের উপর চাপ দিতে শুরু করে শাহজাহান। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি সুমনের মৃত্যু সংবাদ পান পাপিয়া মণ্ডল। তাকে জানানো হয় আত্মহত্যা করেছে সুমন। ছেলের দেহ গ্রামে ফিরিয়ে আনতে বলেন মৃতের মা। পুণে থেকে দেহ নিয়েও আসা হয় গ্রামে। তবে পাপিয়া মণ্ডলের বাড়িতে না নিয়ে ঘুরপথে দেহ নিয়ে মালিপোতার বাঁশবাগানে ছেলের দেহ কবর দেয় শাহজাহান।

Advertisement

এরপরই গোটা ঘটনার পিছনে লুকিয়ে থাকা রহস্যের সন্ধানে পুলিসের দ্বারস্থ হন পাপিয়া। দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তে পাঠানোর আর্জি জানান তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার ডেপুটি ম্যজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে দেহটি তুলে বাগদা থানার পুলিশ। সুমনের কোনও ডেথ সার্টিফিকেটও দিতে পারেনি শাহজাহান। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া কীভাবে সুদূর পুণে থেকে দেহ আনা হল বনগাঁয়, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। সত্যিই কি ছেলের মৃত্যুর সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে শাহজাহানের? নাকি আত্মঘাতীই হয়েছে সুমন? তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ