সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছটফটানি কমেছে তিতলির। শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। আর এর জেরেই আগামী শনিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় তিতলি আছড়ে পড়ে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে৷ প্রবল ঝড়ে বিপর্যস্ত গোটা গোপালপুর৷ ভেঙে গিয়েছে একাধিক কাঁচা বাড়ি৷ অন্ধ্রপ্রদেশে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে আট জন৷ জখম হয়েছেন আরও অনেকে৷ প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ওড়িশায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বন্ধ থাকবে স্কুল। গোপালপুরে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছেন পাঁচজন মৎস্যজীবী৷ তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে উদ্ধারকারী দল৷
[ ২০ দিনেই মাঝেরহাটে তৈরি বিকল্প রাস্তা, আজ খুলছে ব্রেইল সেতু ]
আবহবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ওড়িশা উপকূল হয়ে বাংলায় ঢোকার কথা ছিল তিতলির৷ এতটা পথ পরিয়ে স্বাভাবিকভাবে শক্তিক্ষয় হয় ঘূর্ণিঝড়ের৷ তিতলির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঘূর্ণিঝড় পরিণত হয় গভীর নিম্নচাপে। তার জেরে আজ সারাদিন কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূল অঞ্চলে ভারী পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মৎসজীবীদের আজও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলবে শনিবার পর্যন্ত। সামগ্রিক প্রভাব কাটিয়ে আকাশে শরতের নীলিমা ফিরতে ফিরতে সেই সোমবার। অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে রোদ উঠবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সপ্তমী থেকে দশমী আকাশ ঝলমলে থাকবে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের উপ-মহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “তিতলির প্রভাব থাকবে শনিবার পর্যন্ত। তবে পরিমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থেকে যাওয়ায় রবিবারও কোথাও কোথাও স্থানীয়ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। যদিও সোমবার থেকেই আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
[ বাগরি মার্কেটে ফের আগুন আতঙ্ক, ঘটনাস্থলে দমকল ]