Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্বে হাতছাড়া আর্থিক বরাদ্দ, থমকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের কাজকর্ম

জেলা পরিষদের অচলাবস্থা নিয়ে চিন্তায় শাসক-বিরোধী দুই শিবির৷

TMC-BJP jointly organised GB meeting in South Dinajpur Jela Parishod

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 16, 2019 9:05 pm
  • Updated:September 16, 2019 9:09 pm

রাজা দাস, বালুরঘাট: জেলা পরিষদের দখল নিয়ে তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি টানাপোড়েন৷ থমকে গিয়েছে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির কাজ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দিনকয়েক আগে সাধারণ সভাও ডেকেছে শাসক-বিরোধীরা৷ কিন্তু এই টালমাটাল অবস্থায় রাজ্যের আর্থিক বরাদ্দ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ বঞ্চিত হওয়ায়, চিন্তায় পড়েছেন দু’দলেরই নেতারা৷

[ আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত আইনের ১৫০ নম্বর ধারা অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ওই সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। মতবিরোধ থাকলেও সভাতে দু’দলের অধিকাংশ সদস্যই উপস্থিত হন। বামেদের তিন বিধায়ক উপস্থিত হনি৷ কিন্তু সভায় আসেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, সভাধিপতি-সহ অন্যান্য বিজেপি সদস্যরা৷ তৃণমূলের তরফে সভায় উপস্থিত ছিলেন মেন্টর শুভাশিস পাল, সহকারী সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা৷ জব ওয়ার্কারদের বেতন বৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অধীনে ৩৫টি রাস্তা নির্মাণ, জেলা পরিষদের সম্পত্তিগুলির নজরদারি, বেদখল হয়ে যাওয়া সম্পত্তিগুলি পুনরুদ্ধার এবং কলকাতা ভবন সংস্কার ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে সভাতে আলোচনা হয়৷ এবং সকলে মিলে সংগঠিত ভাবে মতামত দেন৷ কিন্তু আর্থিক বরাদ্দা হাতছাড়া হওয়ায় উদ্বেগপ্রকাশ করেন সকলেই৷ সূত্রের খবর, সাধারণ সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জেলা শাসককে জানানো বরাদ্দের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদনের করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: স্বামীর জন্মদিন, আসানসোলে এসে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্ত্রী ]

এ দিনের সভা শেষে তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের মেন্টর শুভাশিস পাল অভিযোগ করেন, সভাধিপতির উদাসীনতায় জেলা পরিষদে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে৷ সময়মত আবেদন না করায় রাজ্যের বরাদ্দ পায়নি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ। অন্যদিকে সভাধিপতি লিপিকা রায় এবং পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁয়া বলেন, ‘‘জেলাশাসক ফোন ধরেন না। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের অসহযোগিতার ফলেই জেলা পরিষদে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের পরই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ বেশ জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন৷ সাধারণ সভা ও স্থায়ী সমিতির সভাগুলি ডাকতে পারছিলেন না, দু’দলেরই কর্মাধ্যক্ষরা। ফলে থমকে যায় জেলা পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজ কাজকর্ম। তৈরি হয় চরম অচলাবস্থা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ