Advertisement
Advertisement

ধূসর জীবনে মানুষের মধ্যেই রং খুঁজছেন সর্বকনিষ্ঠ তৃণমূল প্রার্থী রূপালি

স্বামীর মৃত্যুর পর উৎসবে রঙের ছিঁটেফোঁটাও নেই৷

TMC candidate of Ranaghat Rupali Biswas finds colour within mass
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 21, 2019 1:09 pm
  • Updated:March 21, 2019 1:21 pm

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: রঙের উৎসব চারপাশে৷ কিন্তু তাঁর জীবন অকস্মাৎ রং হারিয়েছে৷ ‘শোলে’ ছবিতে যেমন গব্বর সিং-এর গুলিতে বিয়ের কয়েকমাস পরেই বেরঙিন হয়ে গিয়েছিল রাধার জীবন, বাস্তবে তেমনই ঘটেছে রূপালির৷ রূপালি বিশ্বাস৷ লোকসভা ভোটে রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী, সংসদে যাওয়ার লড়াইয়ে সর্বকনিষ্ঠ৷ বাস্তবের অভিঘাতে প্রকৃত অর্থেই বেরঙিন হয়ে গিয়েছে রূপালির জীবন৷

নগর পরিক্রমা, নাচগানে দোল উৎসবে মাতল আনন্দধাম নবদ্বীপ

বিয়ের মাত্র দেড় বছরের মাথায় গুলিতে তাঁর বিধায়ক স্বামী  খুন হয়েছেন৷ তারপর থেকে জীবনের সব রং মুছে গিয়েছে৷ তাই দোল উৎসব আজ তাঁর কাছে গুরুত্বহীন৷ একটিই রং আজীবন তাঁর মনপ্রাণ জুড়ে ছিল, সিঁথির লাল রংটি৷ কিন্তু একটা গুলি, তাঁর জীবন থেকে কেড়ে নিয়েছে তাও৷ বরং  গুলিবিদ্ধ স্বামীর রক্তেভেজা নিথর শরীরটা  এখনও যেন তাঁর চোখে ভাসে৷ তবে, তার এই রংহীন  জীবনে দুঃখের ভার কিছুটা লাঘব করার পথ খুঁজে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়l  মানুষের সঙ্গে মিশলে, কথা বললে ব্যক্তিগত কষ্ট খানিকটা হয়তো ভাগ করে নেওয়া যাবে৷ তাই তাঁকে লড়াইয়ে নামিয়েছেন৷ জীবনের আরেকটি দিক দেখিয়ে দিয়েছেন৷

Advertisement

স্বামীহারা জীবন নতুন করে শুরু করেছেন রূপালি৷ রানাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে লোকসভা ভোটের  আগে দলের নেতানেত্রীদের কথামতো তিনি যাচ্ছেন প্রচারে৷ জড়তা কাটানোর চেষ্টায় মাইক্রোফোন শক্ত হাতে ধরে বলছেন দু,চার কথাও৷ আবার কারও কাছে স্বামীর কথা শুনলে ভিজে উঠছে চোখের কোণ৷ কোলের  ছোট্ট ছেলেকে আঁকড়ে ধরে সাময়িকভাবে ভুলে থাকতে চাইছেন দুঃখ৷ আর পাশে পেতে চাইছেন রানাঘাটবাসীকে৷ রূপালি এখন মানুষের কাজ করার জন্য অনেকটাই তৈরি করে ফেলেছেন মনকে৷ বলছেন, ‘আমার স্বামীকে সবাই ভালবাসতেন৷ মানুষের ভালবাসা আমিও পাচ্ছি৷ সবার আশীর্বাদ চাইছি৷ আমাকে মানুষ যদি জেতান, আমি আমার স্বামীর  ফেলে রেখে যাওয়া কাজ সম্পূর্ণ করব৷’

Advertisement

পাড়ার আড্ডায় বচসা, বন্ধুর হাতে খুন যুবক

সকাল থেকে রাত, প্রায় সারাটা দিনই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে৷  রূপালির পাশে বেশিরভাগ সময়েই থাকছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু এবং মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর। হাতে ধরিয়ে শিখিয়ে দিচ্ছেন রাজনীতির অ-আ-ক-খ৷ শিখিয়ে দিচ্ছেন, মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাওয়ার খুঁটিনাটিl  মনের জোর বাড়িয়ে দিচ্ছেন৷ অবশ্য স্বামীর কাছে রূপালি শিখেছিলেন, জনসংযোগ কীভাবে তৈরি করতে হয়৷ এখন সেসব কাজে লাগছে৷ বড়দের কথা শুনে সবই করছেন৷ তবে একটু যেন উদাসীন৷ ঠিক যেন নিজের মধ্যে নেই৷ বিশেষত রঙের উৎসবে তাঁকে যেন বড় বেশি করে ঘিরে রেখেছে একরাশ ধূসরতা, বিষণ্ণতা৷ তাই মানুষের সঙ্গে থেকে, মানুষের জন্য কাজ করে রূপালি কিছুটা রং খুঁজে নিতে চাইছেন৷

ছবি: সুজিত মণ্ডল

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ