Advertisement
Advertisement

Breaking News

বনধের উপেক্ষা করে পথে জনতা, মিষ্টিমুখ করিয়ে ধন্যবাদ তৃণমূলের

দেখুন ভিডিও।

TMC’s sweet treat to people for defying Bharat bandh

ছবিতে চলছে মিষ্টিমুখের পালা, ছবি: সুশান্ত পাল।

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:September 10, 2018 7:04 pm
  • Updated:August 8, 2019 3:14 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বনধকে উপেক্ষা করে পথে নেমেছে মানুষ। তাই পথচলতি যানবাহনকে দাঁড় করিয়ে যাত্রী ও চালকদের মিষ্টিমুখ করালেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম-কংগ্রেসের ডাকা ভারত বনধে এমনই অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল বীরভূম। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি দু’নম্বর কাঁটাগড়িয়া মোড়ে।

সোমবার সকালেই তৃণমূলের স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী নলহাটির কাঁটাগড়িয়া মোড়ে জমায়েত হন। তাঁদের হাতে হাতে ঘুরছিল ছিল মিষ্টির থালা। মুর্শিদাবাদের মোড়গ্রাম হয়ে রামপুরহাটগামী ও রামপুরহাট থেকে মুর্শিদাবাদগামী সমস্ত সরকারি বেসরকারি বাসকে কাঁটাগড়িয়া মোড়ে থামানো হচ্ছিল। বাস থামিয়ে চালক, খালাসি ও যাত্রীদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। একইভাবে লরি-সহ অন্যান্য গাড়ির চালকরাও মিষ্টিমুখ থেকে বাদ পড়েননি। দলীয় কর্মী সমর্থকদের হাতে মিষ্টির থালা, মুখে বনধ বিরোধী স্লোগান। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মেহেবুব আলম বলেন, ‘আমরা এই বনধের বিরুদ্ধে। তাই বনধকে উপেক্ষা করে যারা পথে নেমেছেন তাঁদের মিষ্টিমুখ করাচ্ছি। কারণ বনধের ফলে সাধারণ মানুষের হয়রানি হয়। নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। কিন্তু আজকের বনধে সাড়া না দিয়ে বাস চালকরা পথে নেমেছেন। যাত্রীরাও বাসে উঠেছেন। তাই মিষ্টিমুখ করিয়ে তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

Advertisement

[গলা থেকে বেরল সেফটিপিন, অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচল দশ বছরের বালিকার]

যদিও তৃণমূলের এই কর্মসূচিতে বিজেপির হাত দেখেছে কংগ্রেস। দলের জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, ‘বিজেপি তৃণমূলের মধ্যে যে সখ্যতা রয়েছে তা ফের প্রমাণ হল। দলের জেলা নেতৃত্বের নির্দেশেই তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত। তাই মোদি সরকারের মূল্যবৃদ্ধি, রাফালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ডাকা বনধে ওরা প্রকারান্তরে বিজেপিকে সমর্থন করল।’

Advertisement

উল্লেখ্য, বেলার দিকে লোহাপুরে বনধের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। তবে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিন জেলায় অধিকাংশ বেসরকারি বাস বন্ধ ছিল। সরকারি বাস চলাচল করলেও সংখ্যা ছিল কম। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। জেলাশাসকের দপ্তর থেকে দুই মহকুমা শাসকের দপ্তর, সরকারি অফিসগুলিতে হাজিরার সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, সঠিক সময়েই প্রতিটি দপ্তরে সব কর্মচারি হাজির হয়েছেন। সিউড়িতে সকালের দিকে যাত্রীবাহী সরকারি বাস আটকে দিয়েছিল এসইউসিআই-এর মিছিল। তবে বনধকে ঘিরে সারা জেলায় আর কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি। কোথাও কাউকে গ্রেপ্তার করতে হয়নি। সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল।

দেখুন ভিডিও:

ভিডিও সৌজন্য: বাসুদেব ঘোষ 

[বনধের দিন বিস্ফোরণে উড়ল তৃণমূলের কার্যালয়, চাঞ্চল্য বীরভূমের খয়রাশোলে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ