BREAKING NEWS

৪ আশ্বিন  ১৪৩০  শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ভাল চিকিৎসা পেতে নার্সিংহোমে চলুন! রোগীকে টোপ দিতে গিয়ে বর্ধমানে গ্রেপ্তার ২

Published by: Kumaresh Halder |    Posted: August 17, 2018 8:55 pm|    Updated: August 17, 2018 9:32 pm

two brokers arrested at Burdwan Medical College Hospital

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ‘এখানে ভাল চিকিৎসা হয় না। রোগীর ক্ষতি হয়ে যাবে। আমাদের নার্সিংহোমে নিয়ে চলুন৷’ রোগীর পরিজনদের এইভাবেই প্রভাবিত করার অভিযোগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর থেকে গ্রেপ্তার নার্সিংহোম কর্তা ও এক কর্মী৷

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্মীরা বেশ কিছু ধরেই অভিযুক্ত নার্সিংহোম কর্তা ও এক কর্মীকে সতর্ক করেন৷ অভিযোগ, হাসপাতাল কর্মীদের নিষেধ উপেক্ষা করে মেডিক্যাল কলেজের মধ্যেই নার্সিংহোম থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে হাজির হন এক ব্যক্তি৷ রোগীর পরিজনকে প্রভাবিত করে বর্ধমান মেডিক্যাল থেকে রোগীকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন অভিযুক্তরা৷ বিষয়টি হঠাৎ নজরে পড়ে যায় হাসপাতালের কর্মীদের৷ গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়৷ পুলিশ পৌঁছে নার্সিংহোম কর্তা ও তাঁর এক সহযোগীকে আটক করে৷ পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুই জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷

[প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থের মালিকানা ঘিরে বিতর্ক, বাবুলের তোপের মুখে মলয় ঘটক]

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আনিসুর মণ্ডল ও সুরজিৎ কর্মকার। বর্ধমান শহরের রেনেসাঁর একটি লাইফ কেয়ার নার্সিংহোমের কর্ণধার আনিসুর৷ তাঁর বাড়ি মেমারির সাতগাছিয়া এলাকায়। সুরজিৎ ওই নার্সিংহোমের কর্মী। ধৃতদের এদিনই বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ। যদিও পুলিশ ভ্যান থেকে অভিযুক্তরা আদালতে যাওয়ার দাবি করেন৷ তাঁদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন ধৃত দুই ব্যক্তি৷ তাঁদের দাবি,  রোগীর আত্মীয়রাই নার্সিংহোমে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন৷ ফলে, এদিন তাঁরা রোগী পরিবারকে সাহায্য করতে মেডিক্যাল কলেজে যান বলে দাবি আনিসুরের৷

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের কামরূপের জালুকবাড়ির নিজারাপুরের লালমিঞা আলি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেশ কিছুদিন ধরে ভরতি ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় সুরজিৎ নামের নার্সিংহোম-কর্মী রোগীকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। এই হাসপাতালে ভাল চিকিৎসা হয় না বলেও রোগীর আত্মীয়দের প্রভাবিত করারও চেষ্টা করেন। জরুরি বিভাগের স্বাস্থ্য কর্মীরা সুরজিৎকে হাসপাতাল চত্বর থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন৷

[বছর ঘুরলেও হয়নি সংস্কার, হেরিটেজ তকমা হারাতে পারে দার্জিলিংয়ের দু’টি স্টেশন]

চিকিৎসক লালমিঞাকে দেখার পর ইএনটির বহির্বিভাগে দেখানোর পরামর্শ দেন। তাঁকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ সেই সময় আনিসুর একটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে হাজির হয়ে যান অভিযুক্তরা৷ ফের রোগীর পরিবারকে প্রভাবিক করার চেষ্টা করেন দুই অভিযুক্ত৷ হাসপাতালের কর্মীরা আপত্তি করলেও তা শোনেনি আনিসুর। পরে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিতে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে