Advertisement
Advertisement
এনআরসি

‘বাংলায় কোনও এনআরসি হবে না’, শিলিগুড়ির বিজয়া অনুষ্ঠানে ফের অভয়দান মমতার

শিলিগুড়ির পর উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

WB CM Mamata Banerjee opens up on NRC again
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 21, 2019 5:36 pm
  • Updated:June 22, 2022 1:55 pm

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান। সৌহার্দ্য বিনিময়ের মঞ্চ। উৎসবের মরশুমে সেই আবহেও মিশল রাজনীতি। ফের এনআরসি নিয়ে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের আমন্ত্রণে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বললেন, ‘বাংলা থেকে কাউকে তাড়ানো যাবে না। এনআরসি হতে দেব না। সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে থাকব, শান্তিতে থাকব।’ উত্তরবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলির বাসিন্দাদের অভয় দিয়ে বললেন, ‘অযথা চিন্তা করবেন না। আপনাদের নিজেদের মাটি থেকে কেউ তাড়াতে পারবে না।’ অনেকটা মোদির সুরেই বললেন, ‘আমি আপনাদের পাহারাদার।’
সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলেই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিয়েছেন। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও ভাগাভাগি হবে না এখানে। সকলে হাত ধরাধরি করে, সম্প্রীতির আবহে বাস করব। এখানে সর্বধর্ম সমন্বয় করেই আমরা থাকি। যে কোনও পুজো বা উৎসব সবসময়ে আমার নজরে থাকে। চা বাগানের উৎসবেও ছুটি দেওয়া হয়।’

[ আরও পড়ুন: বেলদায় সংকল্প যাত্রার মঞ্চে উলটো জাতীয় পতাকা! বিতর্কে বিজেপি]

পাশাপাশি, তিনি উত্তরবঙ্গের পুজো উদ্যোক্তাদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন এত ভাল করে আয়োজনের জন্য। তাঁর কথায়, ‘আপনারা দক্ষিণবঙ্গের মতো গুরুত্ব দিয়েই পুজোর আয়োজন করেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোথাও আপনারা পিছিয়ে নেই। আর সংবাদমাধ্যমকেও ধন্যবাদ যে আপনারাও একই গুরুত্ব দিয়ে উত্তরবঙ্গের পুজো দেখিয়েছেন।’
আসলে দুর্গাপুজো শেষে বিজয়া শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে এনআরসি প্রসঙ্গ উঠে আসা হয়ত স্বাভাবিক। কারণ, প্রতিবারই বিজেপির প্রায় সর্বস্তরের নেতাই অসমের মতো বাংলাতেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির মাধ্যমে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের তাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন। এসবের জেরে আতঙ্কিত আমজনতা। নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণে যথাযথ নথি জোগাড় করতে না পেরে আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কোথাও কোথাও আতঙ্কের জেরে শারদোৎসবই ভালভাবে পালন করতে পারেননি অনেকে। এই পরিস্থিতিতে চারপাশে যেমন আনন্দময় আবহাওয়া রয়েছে, তেমনই কিন্তু রয়েছে এনআরসি একরাশ চাপা আতঙ্ক। তাই এনআরসি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই অভয়বাণী খুবই প্রয়োজনীয় ছিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: অনুব্রতর গ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, গুলিতে প্রাণ গেল বিজেপি কর্মীর মায়ের]

শিলিগুড়ির এই অনুষ্ঠানের পর আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলার সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর। এছাড়া কার্শিয়াংয়ে দার্জিলিং জেলা পুলিশের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা তাঁর।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ