শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: গুপ্তধন নয়, বালি খুঁড়তেই উঠে এল ঝাঁকে ঝাঁকে রুই মাছ! এক-দু’কেজি নয়, এক কুইন্টাল! এক-একটি মাছের ওজন কমপক্ষে পাঁচশো গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দারাই শুধু নন, মাছ দেখে লোভ সামলাতে পারলেন না পুলিশকর্মীরাও। ফলে যা হওয়ার, তাই হল। অবরুদ্ধ হয়ে গেল রাজ্য সড়ক। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে।
[রাষ্ট্রপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পড়ুয়ার উত্তরে চোখ কপালে প্রশ্নকর্তার]
ব্যাপারটি কী? সোমবার ভোরে তখনও আলো ফোটেনি। ঘুম চোখেই রাজ্য সড়কের ধারে এসেছিলেন ঘাটালের রথিপুরের বাসিন্দা কালীপদ বড়দোলই। রাস্তার পাশে বালির স্তূপে আস্ত একটি রুই মাছ দেখতে পান তিনি। মাছ কুড়িয়ে নেওয়ার পর বালিতে আরও একটি মাছের লেজ দেখতে পান কালীপদবাবু। সেটিও কুড়িয়ে নেন। এরপরই নেহাত কৌতূহলবশে যখন তিনি বালি স্তূপটি খুঁড়তে শুরু করেন, তখন উঠে আসতে থাকে ঝাঁকে ঝাঁকে রুই মাছ! এদিকে ততক্ষণে ওই বালির স্তূপের কাছে জড়ো হয়ে গিয়েছেন আরও অনেকে। সকলে শুরু করে দিলেন খোঁড়াখুঁড়ি। যত খোঁড়া হচ্ছে, ততই উঠছে মাছ! আশেপাশের গ্রামগুলিতে খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। ব্যস, আর যায় কোথায়! ছেলে-বুড়ো সকলেই হামলে পড়লেন রাজ্য সড়কের ধারে বালির স্তূপের উপর। এতটাই ভিড় জমে যায় যে ঘাটালের রথিপুরে ঘাটাল-চন্দ্রকোণা রাজ্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। খাকি উর্দিধারীরাও দু’-চারটে মাছ কুড়িয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু বালির স্তূপে এত মাছ এল কোথা থেকে? তা স্পষ্ট নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রবিবার রাত দশটা পর্যন্ত রাজ্য সড়কে ধারে বালি ছিল না। সোমবার ভোরে বালির স্তূপটি চোখে পড়ে তাঁদের। প্রতিটি রুই মাছই টাটকা। এক-একটির ওজন কমপক্ষে চারশো থেকে পাঁচশো গ্রাম। কোনও কোনও ওজন এক কেজিরও বেশি। পুলিশের অনুমান, ভোরের দিকে ঘাটালের রথিপুরে রাজ্য সড়কে বালির গাড়ির সঙ্গে মাছের গাড়ির সংঘর্ষ হয়। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে বালি ও মাছ ফেলে পালিয়ে যায় দুই গাড়ির চালকই। ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছে ঘাটাল থানার পুলিশ।
দেখুন ভিডিও:
[ ডোমকলে সম্প্রীতির নজির, শিবভক্তদের সেবায় রেজাউল-আলমরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.