Advertisement
Advertisement
অনুব্রত মণ্ডল

কাটমানি নিলেই জেলবন্দি, অঞ্চল সভাপতিদের কড়া ভাষায় সতর্ক করলেন অনুব্রত

লোকসভা ভোটে হারের জন্য অঞ্চল কমিটি ভেঙে তৈরি নতুন পরিচালন কমিটি।

Will jail anyone caught taking 'cut money', says Anubrata Mandal
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 18, 2019 1:05 pm
  • Updated:November 18, 2019 1:05 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: লোকসভা ভোটে দলের খারাপ ফলাফলের জ্বালা ভুলতে এবার আরও কড়া দাওয়াই বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। রবিবার দুবরাজপুরের দলীয় সভায় তাঁর হুঁশিয়ারি, কোনও কর্মী কাটমানি নিলে পুলিশ সুপারকে দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি লোকসভা ভোটে হারের কারণ হিসেবে দলীয় নেতৃত্বকেই দায়ী করলেন অনু্ব্রত মণ্ডল।
একদিকে অভিযোগ, অন্যদিকে আর্থিক দুর্নীতি। এই দুয়ের জেরে রবিবার দুবরাজপুরে বিধানসভার সাংগঠনিক বৈঠক থেকে ভেঙে দেওয়া হল সাতটি অঞ্চল কমিটিকে। সেখানে তৈরি করা হল পাঁচ সদস্যের পরিচালন কমিটি। খয়রাশোলের পাঁচটি, দুবরাজপুরের দুটি-সহ মোট সাতটি অঞ্চল এখন থেকে পরিচালনা করবে এলাকার পাঁচ স্থানীয় নেতৃত্ব। লোবা অঞ্চলের যুব নেতা শেখ কাশেমুলকে অঞ্চল নেতৃত্বের বিষয়ে মাথা না গলানোর কড়া বার্তা দেন।

[আরও পড়ুন: সাঁওতালি মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার প্রশিক্ষণ চালুর দাবি, আদিবাসীদের অবরোধে স্তব্ধ ঝাড়গ্রাম]

রবিবার দুপুরে দুবরাজপুর ক্রীড়া সংস্থার মাঠে দুবরাজপুর বিধানসভার সাংগঠনিক বৈঠক করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। গত লোকসভা নির্বাচনে খয়রাশোল ব্লকে প্রায় ১৫০০০ ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। দুবরাজপুর শহরে প্রায় আড়াই হাজার ভোটে হেরেছে। দলীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভোটের পরিস্থিতি দলের অনুকূলে ছিল না। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ রানা সিংহ বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে বুঝিয়ে দেন, এলাকার বাম ভোট পরিকল্পিতভাবে বিজেপিতে পড়েছে। একেকটি অঞ্চলে সিপিএম পেয়েছে গড়ে ৩০৫টি ভোট, সেখানে বিজেপির ঝুলিতে জমা পড়েছে ৪৫০০র বেশি। শুধু যে সিপিএমের ভোট বিজেপিতে পড়েছে তাইই নয়, দলের মধ্যে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে প্রকট ছিল, সে কথা অস্বীকার করেননি স্থানীয় অঞ্চল নেতারা। তাই খয়রাশোলের পাঁচটি অঞ্চল ও দুবরাজপুরের দু’টি অঞ্চলে পাঁচজন করে অঞ্চল পরিচালন কমিটি গঠন করে দেওয়া হয় রবিবার। খয়রাশোল ব্লকে বাবুইজোর, হজরতপুর, লোকপুর ও খয়রাশোল। এছাড়া দুবরাজপুর এলাকায় হেতমপুর ও বালিজুড়িতে এই কমিটি কাজ করবে বলে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হাওড়ায় সার্কাসের তাঁবুতে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে মৃত্যু ২টি কাকাতুয়ার]

এদিন বেশ কয়েকজন অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে এলাকায় টাকা তোলার সরাসরি অভিযোগে তোপ দেগেছেন অনুব্রত। তারপরই তাঁর নির্দেশ, এলাকায় যারা দলের নামে কাটমানি নেবে, পুলিশ সুপারকে বলে তাদের গ্রেপ্তার করানো হবে। তবে দলীয় সভা থেকে অনুব্রত মণ্ডলের এই কড়া বার্তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল জানান, এর আগে বহুবার একই কথা বলছেন তৃণমূলের ওই নেতা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করে দেখাননি।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ