Advertisement
Advertisement

Breaking News

নির্ভয়াকাণ্ডের ছায়া রাজ্যে, গণধর্ষণের পর গৃহবধূর যৌনাঙ্গে ঢোকানো হল রড

নারকীয় ঘটনার সাক্ষী ধূপগুড়ি।

Woman allegedly gang raped in Jalpaiguri
Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:October 21, 2018 4:26 pm
  • Updated:October 21, 2018 4:28 pm

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি:  নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে ঢোকানো হল রড। নারকীয় অত্যাচারে অভিযুক্ত নির্যাতিতা গৃহবধূর ভাশুরের ছেলে ও তার বন্ধুরা। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার ভাশুরের ছেলে-সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম রথনু মুণ্ডা ও পরিমল রায়। আর এক অভিযুক্ত সন্তোষ রায় পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থানার ঠাকুরপাট এলাকায়।

জানা গিয়েছে,  নির্যাতিতা ধূপগুড়ির ঠাকুরপাট এলাকার বাসিন্দা। শনিবার বিকেলে তাঁকে নদীর ধারে ডেকে নিয়ে যায় ভাইপো রথনু। নদীর পাড়ে বন্ধু পরিমল ও সন্তোষকে সঙ্গে নিয়ে কাকিমাকে সে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।  শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি অভিযুক্তরা, ওই মহিলার যৌনাঙ্গে রডও ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর নির্যাতিতা গৃহবধূকে ফেলে পালিয়ে যায় রখনু ও তার সঙ্গীরা। এদিকে রাত বাড়লেও স্ত্রী ঘরে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন ওই মহিলার স্বামী। কিন্তু, রাতভর নির্যাতিতার খোঁজ মেলেনি । রবিবার ভোরে নদীর পাড়ের ওই মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছান নির্যাতিতার স্বামী। ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ধূপগুড়ি হাসপাতালে। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে নারকীয় অত্যাচারও চলেছে।

Advertisement

[প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় নদিয়ায় জোড়া দুর্ঘটনা, মৃত ৩]

নির্যাতিতার জ্ঞান ফিরলেও তিনি কথা বলার অবস্থাতে নেই। তবে অভিযুক্তদের নাম বলতে পেরেছেন তিনি। মূল অভিযুক্ত স্বামী অম্রুস মুণ্ডার ভাইপো রথনু মুণ্ডা ও তার দুই বন্ধু। নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগ, পারিবারিক বিবাদের জের মেটাতেই তাঁর স্ত্রীর উপরে নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছে ভাইপো। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে,  শনিবার রাত থেকেই বাড়ি ফেরেনি রথনু।  তাকে ও  বন্ধু পরিমলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এখনও পলাতক অভিযুক্ত সন্তোষ রায়। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। অন্যদিকে নির্যাতিতার সঙ্গে ঘটা অত্যাচারের প্রকৃতি দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত চিকিৎসকরা। এখনও  রক্তক্ষরণ  বন্ধ হয়নি। নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।  গোটা ঘটনায়  ধূপগুড়ির  ঠাকুরপাট এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে ছেলের কুকীর্তি ফাঁস হওয়ার পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে ধৃত রথনু মুণ্ডার বাবা-মা।

Advertisement

[ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে পণ্য খালাসে নজির হলদিয়া বন্দরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ