Advertisement
Advertisement
মাইল ফলক

মাইল ফলকে দূরত্বের হিসেবে গণ্ডগোল, দুর্গাপুরের ব্যস্ত রাস্তায় বিভ্রান্ত পথচারীরা

২০০ মিটার দূরত্ব মাইল ফলকে ২০০ কিলোমিটার!

Wrong distance written on mile stone at Durgapur road
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 12, 2019 8:29 pm
  • Updated:November 12, 2019 8:29 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়,দুর্গাপুর: মিটার আর কিলোমিটারের হিসেব গুলিয়ে মাইল ফলকে ভুল তথ্য। যা দেখে চরম বিভ্রান্ত পথচারীরা। মাইল ফলকে লেখা ২০০ কিলোমিটার। কিন্তু দূরত্ব মাত্র ২০০ মিটার। দুর্গাপুরের মুচিপাড়া থেকে এসবি মোড় হয়ে পিসিবিএল মোড় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশেই এই ফলক বিভ্রান্তি।
দু’নম্বর জাতীয় সড়ক ও বাঁকুড়ার মধ্যে সংযোগকারী অন্যতম রাস্তা এটি। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে দুর্গাপুর স্টেশন যাওয়ার জন্য এই রাস্তাই ব্যবহার করা হয় সাধারণত। দীর্ঘদিন ধরে খারাপ অবস্থায় পড়ে থাকার পর সম্প্রতি এই রাস্তাটি পূর্ত দপ্তর সংস্কার করে। গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এই রাস্তা সংস্কারের পর স্বাভাবিকভাবেই যান চলাচল বেড়েছে। একইসঙ্গে বিভ্রান্তিও বেড়েছে।

[আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে লড়তে আগ্রহ কম, করিমপুরে মনোনয়ন পেশ মাত্র ৪ জনের]

সম্প্রতি এই রাস্তায় যে সমস্ত মাইল ফলক বসানো হয়েছে, তাতে বিস্তর ভুল। বহিরাগত যারা দুর্গাপুর এই রাস্তা ধরে আসছেন, তারা এই ফলক দেখে রাস্তা ভুল করে অন্য রাস্তা ধরে চলে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই রাস্তার উপরই স্টেশন বাজারের কাছে একটি ফলকে লেখা আছে – স্টেশন বাজারের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। কিন্তু বাস্তবে মাত্র ২০০ মিটার দূরেই দুর্গাপুর স্টেশন বাজার। ফলক অনুযায়ী, স্টেশন বাজারের অনেক কাছে বাঁকুড়া। এছাড়া বেশ কয়েক জায়গায় ফলকে জায়গার নামের বানানও ভুল আছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ফলক নিয়ে মজাদার কটূক্তিও শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ লিখছেন, স্টেশন বাজার ২০০ কিলোমিটার দূর দেখে অনেকে ‘কাছের’ বাঁকুড়ায় চলে যাচ্ছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে ছাগল চুরি করতে এসে গণপিটুনির শিকার তিন যুবক]

এই বিভ্রান্তিমূলক ফলক সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “পূর্ত দপ্তরের পথ নিরাপত্তা বিভাগকে ফলক বসানোর আগে আরও সচেতন হতে হতো। বাইরের যাত্রীদের এই বিভ্রান্তিকর ফলকের জন্য সমস্যা হচ্ছে। আমি বিভ্রান্তি দূর করতে পূর্ত দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দেব।” পূর্ত দপ্তরের পশ্চিম বর্ধমান জেলার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কৌশিক কর্মকার আশ্বাস দিয়েছেন, “ওই সমস্ত বোর্ড সরিয়ে ফেলা হবে।’’ কিন্তু ততদিন ফলকের কিলোমিটার আর বাস্তবের মিটারের হিসেব মেলাতে গিয়ে বিভ্রান্তি হয়ত আরও বাড়বে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ