Advertisement
Advertisement

Breaking News

অরবিন্দ কেজরিওয়াল

কেজরিওয়ালের শপথে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের হাজির থাকার নির্দেশ! তুঙ্গে বিতর্ক

এ নিয়ে মুখ খোলেননি সরকারি আধিকারিকরা।

AAP orders school teachers to attend Kejriwal's oath taking

ফাইল ফটো

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 15, 2020 9:49 am
  • Updated:February 15, 2020 9:55 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগেই বিতর্ক। রবিবার রামলীলা ময়দানে তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার কথা কেজরিওয়ালের। বিরোধীদের অভিযোগ, কেজরির এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ছুটির দিনে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শিক্ষকদের হাজির থাকার নির্দেশ দিয়ে স্কুলে স্কুলে বিজ্ঞপ্তিও নাকি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তা নিয়েই আপাতত বিতর্ক তুঙ্গে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে।

Kejriwal
শুক্রবারই কেজরিওয়ালকে সরকারিভাবে দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রবিবার উপরাজ্যপাল তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিল্লি সরকারের একটি নির্দেশিকা ভাইরাল হয়েছে। যাতে দিল্লির প্রত্যেক সরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল, শিক্ষাকর্মী এবং শিক্ষকদের কেজরিওয়ালের শপথগ্রহণে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। বিরোধীদের অভিযোগ, স্কুলের প্রিন্সিপালদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্তত ২০ জন করে শিক্ষককে মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণে পাঠাতে হবে। তাঁদের নামের তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছে দিল্লি সরকার। সরকারি নির্দেশিকায় সই করেছেন খোদ ওএসডি রবীন্দ্র কুমার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কমলনাথের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সিন্ধিয়ার, সংকটে মধ্যপ্রদেশ সরকার!]

আম আদমি পার্টির সরকারের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় একযোগে সরব বিজেপি ও কংগ্রেস। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী জানেন তাঁর শপথগ্রহণে দিল্লির সাধারণ মানুষ উপস্থিত হবে না। তাই ছুটির দিনেও ৩০ হাজার শিক্ষককে শপথে হাজির করতে চান তিনি। সরকারের কোনও আধিকারিক অবশ্য এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ১৫ দিনে আটবার! বিহারে ফের আক্রান্ত কানহাইয়া কুমারের কনভয়]

উল্লেখ্য, দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকারের মূল ইউএসপিই ছিল সরকারি স্কুলের পঠনপাঠনের ব্যবস্থা। আপের দাবি ছিল, দিল্লির সরকারি স্কুলগুলি যে কোনও বেসরকারি স্কুলের পঠন-পাঠন এবং পরিকাঠামোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। যে সরকারি স্কুল নিয়ে আপের এত গর্ব, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে সেই সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ