Advertisement
Advertisement
Donald Trump

‘আইডল’ পুতিন, প্রত্যাবর্তনে রূপকথা লিখতে চান ট্রাম্প

কেন জেলেনস্কিকে দূরে ঠেলেছিলেন ট্রাম্প?

Donald Trump's grand comeback in US President election
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 5, 2024 5:11 pm
  • Updated:November 5, 2024 6:07 pm  

বছর ২৫ আগে একটি সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন তিনি রাজনীতিতে আসবেন কি না, ঠিক নেই। অথচ, এই বছর মার্কিন নির্বাচনের অন্যতম প্রধান চরিত্র তিনি, প্রত্যাবর্তনের রূপকথা লিখতে চান। লিখছেন কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

‘বব উডওয়ার্ড আর কার্ল বার্নস্টাইন একসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নিলে দারুণ হয় না?’ হাসতে-হাসতে বললেন ট্রাম্প।

Advertisement

১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। বেশ জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে নিউ ইয়র্কে। মহানগরীর ইস্ট সাইডে তুর্কি-মার্কিন সোশ‌্যালাইট আইমেত এত্রেগনের পেল্লায় প্রাসাদে জমিয়ে চলছে নৈশপার্টি। মার্কিন বিনোদন জগতের প্রায় সব কেষ্টবিষ্টু হাজির। এহেন তারকাখচিত পার্টির মূল আকর্ষণ অবশ্য বছর বেয়াল্লিশের ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন শিল্পজগতে ধূমকেতুর মতো উদিত হওয়া এক তারকা। সেই ট্রাম্পের চোখ পড়ল পার্টির একজায়গায় ওয়াশিংটন পোস্টের প্রবাদপ্রতিম রিপোর্টার যুগল, বব উডওয়ার্ড আর কার্ল বার্নস্টাইনের উপর। হাসতে-হাসতে তাঁদের সম্ভাষণ করে সাক্ষাৎকারের অনুরোধ করলেন তরুণ ট্রাম্প।

বার্নস্টাইন তো এককথায় রাজি। আগামিকাল করলে কেমন হয়? ট্রাম্প তো তৎক্ষণাৎ রাজি। ‘ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি’ ফাঁস করা রিপোর্টার সাক্ষাৎকারের সময় চাইছেন। এ তো মেঘ না চাইতেই জল! বার্নস্টাইনের কথায় রাজি হলেন উডওয়ার্ডও। ঠিক হল, পরের দিন ট্রাম্পের অফিসেই সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।
এখানে ‘ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি’ নিয়ে দু’-চার কথা বলে নেওয়া যায়। তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন নিজেই যেচে দুই সাংবাদিকের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার বাসনা প্রকাশ করলেন– তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
১৯৭২ সালের ১৭ জুন রাতে ওয়াশিংটনের ওয়াটারগেট অঞ্চলে ডেমোক্র‌্যাট দলের এক দফতরে জনা পঁাচেককে পুলিশ চোর সন্দেহে আটক করে। পরে জেরার মুখে বেরয় যে, এরা ডেমোক্র্যাট দলীয় অফিসের ফোনে আড়ি পাতার যন্ত্র লাগাতে এসেছিল। অবশেষে এ-ও বের হয়, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের প্রত্যক্ষ মদত ছিল এর নেপথ্যে। উডওয়ার্ড আর বার্নস্টাইন প্রথম দিন থেকেই এই তদন্তের খবর করছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টে।

বস্তুত, এঁদের তদন্তমূলক রিপোর্টিংয়ের দরুন গোটা ঘটনাটা নিছক চুরিতে আর আটকে থাকে না, এ-যাবৎকালে মার্কিনি রাজনীতির সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি উন্মোচিত হয়। রিপাবলিকান প্রার্থী হয়ে, ১৯৭২ সালে, নিক্সন দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও, ওয়াটারগেট নিয়ে উডওয়ার্ড আর বার্নস্টাইনের একের-পর-এক বিস্ফোরক রিপোর্টিংয়ের ধাক্কায়, ১৯৭৪ সালের ৯ আগস্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। এটাই বিশ্ব সাংবাদিকতার ইতিহাসে ‘ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি’ নামে খ্যাত।

পরে, ১৯৭৪ সালে এই ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির তদন্ত নিয়ে বার্নস্টাইনের সঙ্গে ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন’ নামে এক বেস্টসেলার লেখেন উডওয়ার্ড। হলিউড সুপারস্টার রবার্ট রেডফোর্ড আর ডাস্টিন হফম্যানকে দিয়ে যথাক্রমে উডওয়ার্ড আর বার্নস্টাইনের ভূমিকায় অভিনয় করিয়ে ১৯৭৬ সালে হলিউডে এই বইকে ভিত্তি করে একই নামে একটি সিনেমাও বানানো হয়। ১৯৭৬ সালেই বার্নস্টাইনকে সঙ্গী করে ‘ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি’-র শেষাংশ ‘দ্য ফাইনাল ডেজ’ নামে লেখেন উডওয়ার্ড।

তাই এহেন দুই ডাকসাইটে রিপোর্টারকে হাতের কাছে পাওয়ার সুযোগ জনমানসে ছাপ ফেলতে আগ্রহী ট্রাম্প যে লুফে নেবেন– তা বলা বাহুল্য। যদিও ওই সাক্ষাৎকারে, রাজনীতি নিয়ে বছর বিয়াল্লিশের ট্রাম্প টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করেননি। বরং তাঁর ফুলেফেঁপে ওঠা রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা, আদনান খাসোগি-র কাছ থেকে বিলাসবহুল ইয়ট পাওয়া, তাঁর দুনিয়াজোড়া গল্‌ফ কোর্স তৈরির ব্যবসা নিয়েই কথা বলেন।

শুধু রাজনীতিতে আসবেন কি না– এটা নিয়ে কোনও স্পষ্ট বক্তব্য ছিল না। ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর দুই দুঁদে রিপোর্টারকে ট্রাম্প বলছেন, ‘কেউ জানে না, ১০ বছর বাদে সে কোথায়, কী অবস্থায় থাকবে। দুনিয়া পাল্টাচ্ছে। আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, তো বলব, জানি না। যদি সবকিছু একই থাকে, তাহলে
হয়তো বলতে পারতাম। কিন্তু ওই যে বললাম– দুনিয়া পাল্টাচ্ছে।’ রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা আছে কি না–
এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় না। আবার আমি নিশ্চিতও নই। আমি এখনও তরুণ। কাগজ-কলমে এখনও লম্বা একটা সময় পড়ে আছে আমার জন্য। বহু লোককে দেখলাম, বহু কিছু বিলিয়ে দিতে। যখন খারাপ সময় এল, তখন দেওয়ার জন্য কিছুই অবশিষ্ট নেই।’ এই ‘খারাপ সময়’ নিয়ে ট্রাম্প আবার বেশ স্পর্শকাতর। ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প ফাউন্ডেশন করে পরিবার আর ব্যবসা বঁাচানোর চিন্তাভাবনা তখন থেকেই মাথায় ঘুরছে।

আদতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে, তখন দুই যুযুধান প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের প্রার্থী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আর ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে নিয়ে মার্কিন জনমানসে তো বটেই, বিশ্বের সব ক্ষমতার অলিন্দে জোর পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। আর ঠিক এই সময়, মার্কিন তথা বিশ্ব আর্থ-রাজনীতির ভরকেন্দ্র হোয়াইট হাউসের প্রতিটি ইট যার চেনা– সেই বব উডওয়ার্ড নিয়ে এসেছেন তাঁর নবতম রাজনৈতিক বই– ‘ওয়ার’।

বর্তমানে চলতে থাকা ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধের আলোকে মার্কিন রাজনীতির মূল কুশীলবদের খুঁটিয়ে দেখা-ই এই ৪৩৫ পাতার বইয়ের মূল লক্ষ্য। অবশ্যম্ভাবীভাবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপরও সার্চলাইট পড়েছে। যেহেতু গত অর্ধশতাব্দী ধরে ক্যাপিটল হিলের প্রায় সব কুশীলবই বব উডওয়ার্ডের ফোন কল পেলে সেটাকে মার্কিন রাজনীতিতে একটা মাইলফলক হিসাবে গণ্য করেন, তাই এ-ই বই, বলা যায়, এমন একজনের লেখা– যিনি মার্কিন রাজনীতির ঘটনাপ্রবাহকে একদম প্রথম সারির আসনে বসে দেখেন। তাই তিনি পাঠকদের সামনে যে-ট্রাম্পকে হাজির করেছেন, তা যেমন বিগত শতকের, তেমনই তা ’২৪ সালেরও। রাজনীতিবিদ হিসাবে ট্রাম্পকে বুঝতে যা এক অনন্য পাঠক্রম।

যেমন ধরা যাক, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক। বিশ্ব চমকে গিয়েছিল ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য শুনে। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের নিন্দার একটা শব্দও শোনা যায়নি ট্রাম্পের মুখে। বরং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সদম্ভে দাবি করে বসলেন যে, তিনি তখ্‌তে থাকলে একসপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করে দিতেন।

প্রশ্ন উঠছে, এই দাবির সারবত্তা কতটা। এর প্রেক্ষাপট জানতে হলে আমাদের বছর পাঁচেক আগে ফিরতে হবে। ২০১৯ সালে মস্কোর অনুগত পেট্রো পোরোশেঙ্কোকে হারিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কি যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হলেন– তখন দেশের পূর্বপ্রান্তে, ডনবাসে রুশ মদতপুষ্ট মিলিশিয়া বাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেন সামরিক বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। ফলে, ওই বছরের ২৫ জুলাই যখন জেলেনস্কি ট্রাম্পের কাছে ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র চাইলেন, তখন ট্রাম্প সামরিক সাহায্যের এক শর্ত জুড়ে দিলেন। ইউক্রেনে জো বাইডেন ও তঁার ছেলে হান্টারের কাজকর্ম পুলিশি তদন্তের আওতায় আনতে হবে। এতেই ক্ষান্ত হলেন না ট্রাম্প। উল্টে জেলেনস্কির সঙ্গে তঁার টেলিফোনের আংশিক কথোপকথন প্রকাশও করে দিলেন ট্রাম্প। এটা জেলেনস্কি ভালভাবে নেননি। বরং এটাকে পিছন থেকে ছুরি মারার সঙ্গেই তুলনা করলেন।

কেন জেলেনস্কিকে দূরে ঠেলেছিলেন ট্রাম্প? উত্তর ভাসছে ওয়াশিংটনের মহল্লায়। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে মার্কিন গোয়েন্দারাও। শুধু তা-ই নয়। বুশ আর ওবামা জমানায় রাশিয়া বিশেষজ্ঞ ফিয়োনা হিলও এ-ব‌্যাপারে নিশ্চিত। ‘মিস্টার পুতিন: অপারেটিভ ইন ক্রেমলিন’ বইয়ের সহ-লেখিকা হিল আবার ট্রাম্পেরও রুশ-বিষয়ে পরামর্শদাতাও ছিলেন। এহেন হিল গোয়েন্দা রিপোর্টে কার্যত সিলমোহর দিয়ে বলছেন, ‘পুতিনকে আসলে আইডল হিসাবে দেখেন ট্রাম্প। তাই প্রেসিডেন্ট হয়েও ব্যক্তিগত আশা-আকাঙ্ক্ষা গুরুত্ব পায় তাঁর কাছে। আদতে পুতিন আর রুশ গুপ্তচর সংস্থা একই সঙ্গতে কাজ করে। কোটি কোটি ডলার মার্কিন রাজনৈতিক দুনিয়ায় ঢোকানো হয়, যাতে মিথ্যার ধারাভাষ‌্য তৈরি করা যায়।’

অবশ্য এসব সমালোচনায় ট্রাম্পের কোনও হেলদোল নেই। উডওয়ার্ডের লেখনী বলছে, ২০১৮-তে হেলসিঙ্কিতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের ঠিক আগে, আমেরিকায় ডজনখানেক রুশ চর ধরা পড়ে, যারা ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের নির্বাচনী প্রচার ভন্ডুল করার চেষ্টায় ছিল। বৈঠকের পরে পুতিনকে পাশে নিয়ে যখন ট্রাম্প মঞ্চে, তখন তাঁকে এ-ব্যাপারে প্রশ্নও করা হয়। ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ গোছের জবাব আসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে– ‘পুতিন বলেছেন, রুশরা এসব কাজে জড়িত নয়। আমিও এই জড়িত থাকার ব্যাপারটা যুক্তিগ্রাহ্য মনে করি না।’

মার্কিন গোয়েন্দামহল যে প্রেসিডেন্টের এহেন আচরণ ভালভাবে নেয়নি, তা বুঝতে অবশ্য পোড়-খাওয়া ট্রাম্পের বাকি ছিল না। হাওয়া খারাপ বুঝে হেলসিঙ্কি থেকে ফিরেই সাততাড়াতাড়ি ট্রাম্পের টুইট– ‘দেশের গোয়েন্দাদের উপর আমার আস্থা আছে।’

আদতে, পুতিনকে সমালোচনার রাস্তাতেই ট্রাম্প যে হাঁটতে চান না, তা বারংবার পরিষ্কার। ২০১৬-র নির্বাচনের আগে বলে বসলেন, ‘আমি চাই, পুতিন আমেরিকাকে শ্রদ্ধা করুন।’ যখন জিজ্ঞাসা করা হল– এই ‘শ্রদ্ধা’ রুশদের তরফ থেকে কীভাবে আসবে, তখন তৎকালীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর জবাব ছিল,
‘উনি তো আমার ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন ট্রাম্প অসাধারণ। ট্রাম্প-ই নতুন নেতা। কিছু ভাঁড় বলে আমাকে পুতিনের সমালোচনা করতে। কেন করব সেটা?’

বছর আষ্টেক বাদে ২০২৪-র নির্বাচনী প্রচারেও এসে পাল্টাননি ট্রাম্প। ইউক্রেনকেই নতজানু হতে বলছেন পুতিনের কাছে। তঁার কথায়, ‘ইউক্রেন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। হাজার-হাজার বছরের জনপদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এবার কিভ-ও ধ্বংস হবে। মানুষ চলে যাচ্ছে। সেনা কমছে। বাধ্য হয়ে কিশোর আর বৃদ্ধরা ফ্রন্টে যাচ্ছে।’ তাই ট্রাম্পের যুক্তি, যেটুকু বাকি, তা বাঁচাতে ইউক্রেনের উচিত, পুতিনের
সঙ্গে সন্ধি করা।

তবে উডওয়ার্ডের বইয়ের যে-খবর নিয়ে মার্কিন মুলুকে হইচই পড়ে গিয়েছে, তা হল, ওভাল অফিস ছাড়ার পরও পুতিনের সঙ্গে নাকি ট্রাম্পের যোগ আছে– আর ট্রাম্পের সঙ্গে নাকি পুতিনের ফোনে বার সাতেক কথা হয়েছে। যদিও ট্রাম্পের তরফে পুরোটাই অস্বীকার করা হয়েছে কিন্তু বিতর্ক থেমে থাকছে না।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টরাই বেশিরভাগ সময় উডওয়ার্ডের বইয়ের বিষয় হয়েছেন। তবে নিক্সনের পরে ট্রাম্পের উপরই বোধহয় উডওয়ার্ডের নজর পড়েছে বেশি। ‘পেরিল’, ‘রেজ’, ‘ফিয়ার’ নামে তিনটি বই তিনি লিখেছেন ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় নিয়ে। এটাই ট্রাম্পের ওভাল অফিস থেকে বেরনোর পর ফের ওভাল অফিসে আসীন হওয়ার চেষ্টার বই। ১৯৮৯ সালে ট্রাম্প জানিয়েছেন, মার খাওয়ার পরও এক বক্সারকে দাঁতে দাঁত চিপে রিংয়ে থাকতে দেখেছেন, জিততেও দেখেছেন। উডওয়ার্ড বলছেন, এই হার না-মানাই ট্রাম্পের মূল শক্তি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement