সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় স্তরের ছবি মানেই হিন্দি ছবি। আরও স্পষ্ট করে বললে বলিউড ছবি। এমন একটা ধারণা আমআদমির মধ্যে তিলে তিলে গড়ে উঠছে। দোষ অবশ্য তাদের দেওয়া যায় না। কারণ বলিউড কার্যত মনোপলি ব্যবসা শুরু করেছে দেশজুড়ে। তাই হিন্দি সিনেমা স্ক্রিন পায় আর অন্য ভাষার ছবি তাদের রাজ্যেই সিনেমাহলের মুখ দেখতে পায় না। এই নিয়ে অনেকে অনেকবার মুখ খুলেছেন। কিন্তু কাজ হয়নি কিছুই। এবার অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও একই কথা বললেন।
সর্বভারতীয় একটি অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত ছিলেন অভিনেতা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি চলচ্চিত্র জগতে হিন্দি ভাষার সিনেমার আগ্রাসন ও মনোপলির কথা তোলেন। সেই সঙ্গে অন্য ভাষার সিনেমার সঙ্গে তার তুল্যমূল্য বিচারও করেন অভিনেতা। বলেন, বলিউড ছবি মানেই ব্যবসা করে। প্রচুর স্ক্রিন পায়। আর মাল্টিপ্লেক্স হলে তো কথাই নেই। যদি একটি মাল্টিপ্লেক্সে হিন্দি সিনেমার কুড়িটি শো পাওয়া যায়, তাহলে খুব ভাল আর ‘ভাগ্যবান’ বাংলা ছবি হয়তো পাঁচটি শো পায়। এখানে ‘ভাগ্যবান’ কথাটি খুব জরুরি। কারণ, বাংলা ছবি বাংলাতেই ব্রাত্য। হিন্দি প্রযোজক ও ডিস্ট্রিবিউটারদের সঙ্গে টক্কর দিয়ে বাংলা ছবির জন্য শো পাওয়া যায় কচিৎ কদাচিৎ। পরমব্রত একজন অভিনেতা ও চিত্রপরিচালক। তিনি নিজে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
পরমব্রত আরও বলেছেন, বিভিন্ন ভাষার সিনেমার তো একটা গালভরা নামও আছে- ‘আঞ্চলিক সিনেমা’। ‘ন্যাশনাল সিনেমা’র আওতায় নাকি সেগুলি পড়ে না। তাহলে এই ‘ন্যাশনাল সিনেমা’ কী? তিনি যেমন শাহরুখ-আমির-অমিতাভের ছবি দেখেন, তেমনই মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক, সত্যজিৎ রায়, তপন সিনহার ছবিও দেখেছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি বলেন, ভারতে যত ভাষার ছবি তৈরি হয় সেগুলি একটাও ‘আঞ্চলিক সিনেমা’ তকমা পাওয়ার মতো নয়। প্রত্যেকটি জাতীয় স্তরের এবং প্রত্যেকটিই ‘ন্যাশনাল সিনেমা’র গৌরব পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু তাও হিন্দি ছাড়া অন্য ভাষার ছবিগুলো সেই মর্যাদা পায় না। সিনেমার ক্ষেত্রে এটা খুব দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন অভিনেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.