সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাঁটুর চোট সারাতে ওষুধ নয়, মূত্রপানই নাকি অব্যর্থ দাওয়াই। অজয় দেবগণের বাবার পরামর্শে নাকি সে কাজই করেছিলেন। টানা ১৫ দিন বিয়ারের মতো মূত্রপান করেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেন পরেশ রাওয়াল (Paresh Rawal)। স্বাভাবিকভাবে এই মন্তব্য নিয়ে চলছে জোর চর্চা। নেটিজেনদের অনেকেই বলছেন, “বমি পাচ্ছে।”
সম্প্রতি পরেশ রাওয়াল একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন। তাতেই দাবি করেন, “রাজকুমার সন্তোষীর ‘ঘটক’ ছবির শুটিংয়ের সময় হাঁটুতে মারাত্মক চোট পাই। তড়িঘড়ি মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে যাই। সঙ্গে ছিলেন তিন্নু আনন্দ এবং ড্যানি ডেনজংপা। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন চোট সারতে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই মাস লাগবে। ইতিমধ্যে হাসপাতালে একদিন অজয় দেবগণের বাবা দেখতে আসেন। দিনের প্রথম প্রস্রাব পানের পরামর্শ দেন। তাতেই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলেও জানান। তবে যেদিন প্রথম প্রস্রাব পান করবেন তার আগের রাতে মদ্যপান, ধূমপান এমনকী খাসির মাংসও খাওয়া যাবে না।”
পরামর্শ শুনে নিজেরও নাকি গা ঘিনঘিন করছিল অভিনেতার। পরে যদিও সেরে ওঠার জন্য পরামর্শ মানবেন বলে মনঃস্থির করেন। সেইমতো টানা ১৫ দিন নিজের প্রস্রাব পান করেন পরেশ রাওয়াল। তারপর এক্স রে রিপোর্ট দেখে তাজ্জব চিকিৎসকরা। তাঁদের দেখেন, দ্রুত সারছে চোট। যে চোট সারতে দুই থেকে আড়াই মাস লাগার কথা সেখানে মাত্র দেড় মাসেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন অভিনেতা।
এদিকে, পরেশ রাওয়ালয়ের এই বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নেটদুনিয়ায় চলছে জোর চর্চা। কেউ লিখছেন, “বমি পাচ্ছে।” আবার কারও দাবি, “মুখ খুললেই বিপদ।” অনেকে আবার বলছেন, “এসব ভুলভাল কথা বলে ভারতের নাম আর কত ডোবাবেন?” যদিও এই প্রথমবার নয়, এর আগে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে মাছ নিয়ে বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে বিপাকে পড়েন তৎকালীন বিজেপি সাংসদ। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই পরেশ রাওয়ালের মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো হইচই। যদিও এভাবে যে সেরে ওঠা সম্ভব, তা মানতে নারাজ চিকিৎসকরা।
Paresh Rawal said he drank his first urine of the day like beer for 15 days which helped him cure his disease.😒 pic.twitter.com/jGuDv1fxfX
— Meer Rayees (@MeerRayeesM1) April 27, 2025
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.