সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদক কাণ্ডে হাজিরা দিতে এনসিবির দপ্তরে বলিউডের ‘পদ্মাবত’। শনিবারই হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। NCB দপ্তরে হাজিরার কথা সারা আলি খান এবং শ্রদ্ধা কাপুরেরও।
#WATCH Maharashtra: Actor Deepika Padukone arrived at Narcotics Control Bureau’s (NCB) Special Investigation Team (SIT) office in Mumbai, earlier today.
She has been summoned by NCB to join the investigation of a drug case, related to #SushantSinghRajputDeathCase. pic.twitter.com/yWSihP5CG0
— ANI (@ANI) September 26, 2020
তার আগে দীপিকা (Deepika Padukone) নিয়ে নতুন গুজবও ছড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। হঠাৎ শোনা যায়, রণবীর সিং (Ranveer Singh) স্ত্রীর জেরায় থাকতে চান। তিনি নাকি বলেছেন, দীপিকা অ্যাংজায়েটির রোগী, তাই তাঁকে একা জেরায় বসতে দিতে চান না। এনসিবি অবশ্য খবরটা উড়িয়ে দেয়। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রণবীর বা দীপিকা এরকম কোনও আবেদন করেননি। সূত্রের খবর, এনসিবি দপ্তরের কাছে একটি পাঁচতারা হোটেলেই রয়েছেন রণবীর।
Mumbai: Actor Deepika Padukone arrives at Narcotics Control Bureau (NCB) SIT office.
She has been summoned by Narcotics Control Bureau to join the investigation of a drug case, related to #SushantSinghRajputDeathCase. pic.twitter.com/kzxaHGvXFl
— ANI (@ANI) September 26, 2020
এদিকে, শুক্রবার প্রায় সাত ঘণ্টা জেরা করা হয় দীপিকার ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশকেও। তাঁকে শনিবারও ফের ডাকা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, দীপিকা আর করিশ্মাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে এনসিবি। বলিউড আর মাদকের সম্পর্ক যে কতটা গভীর, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) তদন্তে তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। শুক্রবার পরপর চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হতে থাকে এনসিবির দপ্তর থেকে। অভিনেত্রী রকুলপ্রীত সিং (Rakul Preet Singh) স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত মাদকের মালকিন রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)। রিয়ার সঙ্গে তাঁর নিয়মিত মাদক সংক্রান্ত কথা হত বলেও স্বীকার করেছেন। তিনি আরও জানান, রিয়া মাদক কিনে রকুলের বাড়িতে রাখতেন। তবে রকুল নিজে কখনও মাদকসেবন করেননি। এদিন প্রায় চার ঘণ্টা রকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনসিবি। তার আগে বৃহস্পতিবার অভিনেত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল তারা। রকুলের বয়ান খতিয়ে দেখে আদালতে পেশ করা হবে।
নারকোটিক্স ব্যুরো জানিয়ে দেয় বিতর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপের অ্যাডমিন আর কেউ নন, দীপিকা পাড়ুকোন। তিনিই ওই মাদক গ্রুপ তৈরি করে নানা সদস্যকে যোগ করেছিলেন। দীপিকা ও সুশান্তের ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহা গ্রুপের আরেক অ্যাডমিন। দীপিকার ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশ ছিলেন গ্রুপের অন্যতম সদস্য। এই গ্রুপ চ্যাটেই করিশ্মার কাছে হ্যাশ চেয়েছিলেন দীপিকা। এটা পরিষ্কার, দীপিকার তৈরি এই গ্রুপের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল মাদক জোগানের কাজটা সহজ করা।
সুশান্তের (Sushant Singh Rajput) ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহাকে পরপর তিনদিন জেরা করেছে এনসিবি। এদিকে, জয়া নাকি নানা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট এনসিবিকে দেখিয়ে মাদক সরবরাহের পদ্ধতি খোলসা করেছেন। জয়ার দাবি, তারকাদের মাদক জোগানোর কাজটা করতেন করিশ্মা। তাঁর এবং দীপিকার মাদকযোগ কত গভীর, দীপিকার জেরার পরে আরও স্পষ্ট হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.