সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯ নভেম্বরের শেষ। ২০ নভেম্বরের শুরু। মাঝরাতে আচমকাই সোশাল মিডিয়ায় বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন এ আর রহমান। দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে স্ত্রী সায়রা বানুর থেকে আলাদা হওয়ার কথা জানান অস্কারজয়ী সঙ্গীতশিল্পী। তার পর থেকে নানা রটনা রটেছে। তাতে রাশ টানকে আইনি নোটিসও দিয়েছেন রহমান। কিন্তু রটনার শেষ নেই। এবার গুঞ্জন, বিচ্ছেদ ঘোষণার পরই কাজ থেকে বিরতি নিচ্ছেন সুরকার। ব্যাপার কী? মুখ খুললেন খোদ শিল্পীকন্যা খাতিজা।
সোশাল মিডিয়ায় রহমানের পোস্ট শেয়ার করে জানানো হয়, এ আর রহমান সঙ্গীত জগতের কাজ থেকে এক বছরের বিরতি নিচ্ছেন। তাঁর সুরের জাদু মিস করবেন বলেও জানান নেটিজেন। এতেই ক্ষিপ্ত হন খাতিজা। পোস্টটি শেয়ার করে রহমানকন্যা লেখেন, ‘দয়া করে এই ধরনের আজেবাজে গুজব ছড়াবেন না।’
১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। ধুমধাম করে খাতিজার বিয়ে দিয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। ২০ নভেম্বরের শুরুতে রহমান যখন ডিভোর্স ঘোষণা করেন, ঠিক তার পরই তাঁর সহ-শিল্পী মোহিনী দে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। দুই ঘটনার যোগসূত্র খুঁড়ে নানা রটনা রটে নেটপাড়ায়।
সেই সময় রহমানের বড়কন্যা রহিমা নিন্দুকদের একহাত নিয়েছিলেন। তিনি লেখেন, ‘সবসময়ে মনে রাখবেন গুঞ্জন তারাই ছড়ায় যারা হিংসে করে বা আপনাকে ঘৃণা করে। মূর্খরা সেগুলো রটায়। আর বোকারা সেই ভুয়ো খবর, রটনাগুলোকে গিলতে থাকে। সত্যিই বলছি, নিজের চরকায় তেল দিন।’ সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করে মোহিনীও তীব্র ধিক্কার জানান। বলেন, রহমান তাঁর বাবার মতো। রহমান নিজেও আইনি নোটিস সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। কয়েক পাতার সেই নোটিসের মাধ্যমেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, রহমান ও সায়রা বানুর ডিভোর্স নিয়ে যে বা যাঁরা আপত্তিকর পোস্ট, ভিডিও বা ইন্টারভিউ পোস্ট করেছেন তাঁরা অবিলম্বে বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন সেই সমস্ত পোস্ট সোশাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলেন, তা নাহলে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার আইন অনুযায়ী মানহানির মামলার মুখে পড়তে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.