Advertisement
Advertisement

Breaking News

উষসী

উষসী নিগ্রহ কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ লালবাজারের, সাসপেন্ড চারু মার্কেট থানার এসআই

শোকজ করা হল ভবানীপুর ও ময়দান থানার কর্তব্যরত আধিকারিকদের।

Cop suspended for negligence duty in Ex Miss India hackling case
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 19, 2019 7:56 pm
  • Updated:June 19, 2019 8:13 pm

সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া উষসী সেনগুপ্তের উপর নিগ্রহের ঘটনায় নয়া মোড়। এবার পুলিশের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নিল লালবাজার। নিগ্রহের ঘটনায় তিনটি থানার কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি তৈরি করে লালবাজার। ডিসির নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিটি পুলিশের তরফে  সত্যিই কোনও খামতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখে। বুধবার রাতে সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ভবানীপুর, ময়দান ও চারু মার্কেট থানার কর্তব্যরত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল লালবাজার।

চারু মার্কেট থানার সাব ইন্সপেক্টর পীযূষ বলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন তিনি ওই সময় কোনও পদক্ষেপ নেননি? ঘটনাটি ভবানীপুর থানার এক্তিয়ারভুক্ত বলে কেন এড়িয়ে গিয়েছেন?  ঘটনায় শোকজ করা হয়েছে ভবানীপুর থানার এসআই মৃণাল মজুমদার ও ময়দান থানার এএসআই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন তাঁরা লালবাজারকে গোটা বিষয়টি জানাননি।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ফের রাতের কলকাতায় আতঙ্ক, শ্লীলতাহানির শিকার প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ]

Advertisement

উষসী কাণ্ডের যাবনিকাপাত অবশ্য এখানেই হয়নি। লালবাজারে ভবানীপুর থানার ওসি, চারু মার্কেট থানার ওসি ও ময়দান থানার অতিরিক্ত ওসিকে নিয়ে পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা বুধবার বৈঠক করেন লালবাজারে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, রাতের শহরে ট্রাফিক পুলিশকে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। যে থানা আগে খবর পাবে, তাদেরই প্রথমে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরে নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলাটি স্থানান্তরিত করা হবে। রাতে বাড়াতে হবে পুলিশি টহলদারি। সিসিটিভি নজরদারিতে থাকবে অতিরিক্ত কর্মী।

প্রসঙ্গত, ১৭ জুন রাতে উষসী ও তাঁর এক সহকর্মী জে ডাব্লিউ ম্যারিয়ট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। কাজের সূত্রেই তাঁদের  ফিরতে রাত হয়। এদিনও ব্যতিক্রম ছিল না। হোটেল থেকে উবের নিয়েছিলেন তাঁরা। এক্সাইড ক্রসিং পেরনোর পর কয়েকজন বাইকারোহী তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই প্রায় জনা পনেরো ছেলে গাড়ির জানলায় আঘাত করতে থাকে। হঠাৎই গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে তারা। চালককে বেধড়ক পেটাতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটির ভিডিও করতে শুরু করেন উষসী। এরপর তিনি কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের কাছে অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু কী আশ্চর্য! সেসময় কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের কেউই তাঁকে সাহায্য করেনি। রাতের কলকাতা শহর যে মেয়েদের জন্য এখনও সুরক্ষিত নয়, তা প্রমাণিত হল আরেকবার। এমনটাই মত, শহরবাসীদের।

[ আরও পড়ুন: পুলিশি পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ, উষসী নিগ্রহ কাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিশন ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ