সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সূচনাটা তেমন ভাল হয়নি। প্রথম দিকেই সেন্সর গেরোয় আটকে পড়েছিল ‘ডুব-নো বেড অফ রোজেস’। কিন্তু অবশেষে সেসব বাধা কাটিয়ে থিয়েটারের মুখ দেখেছিল ছবিটি। তবে ছবিটি যে সিনেপ্রেমীদের মুগ্ধ করেছে, তার প্রমাণ মিলল এবার।
ছবি সুপারহিট মানে এই নয় যে সেই ছবিটি অসাধারণ হবে। অনেক কমার্শিয়াল ছবি অনেক সময় সুপারহিটের তকমা পায়। কিন্তু আদতে দেখা যায় সেটি সমালোচকদের একেবারেই পছন্দ হয় না। কোনও চলচ্চিত্র উৎসব বা প্রতিযোগিতাতেও যাওয়ার মতো হয় না ছবিগুলি। ‘ডুব’ কিন্তু সেই পর্যায়ে পড়ে না। তারই ফলশ্রুতি ছবিটির অস্কারযাত্রা।
[ ‘লাভযাত্রী’ নিয়ে সলমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বিহারে ]
প্রয়াত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জীবন অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ‘ডুব’। সেই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি জানান প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী ও অভিনেত্রী ডা: মেহের আফরোজ শাওন। তবে ছবিটির নির্মাতা মোস্তাফা সারওয়ার ফারুকিম বলেন, এটি তাঁর সম্পূর্ণ মৌলিক গল্পভিত্তিক চলচ্চিত্র, কোনও জীবনীগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়নি। এদিকে ছবিটির এক অভিনেতা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ছবিটিতে হুমায়ূন আহমেদের জীবনের কিছু অংশ রয়েছে। এ অবস্থায় ফের প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন মেহের আফরোজ শাওন। এমনকী তিনি সেন্সর বোর্ডকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানান। এবং তারপরই এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ড ও তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক। তবে শেষমেশ নির্মাতাদের সঙ্গে ঝামেলা মিটে যাওয়ায় ছাড়পত্র পায় এই ছবি। এরপর বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয় ‘ডুব’। এই ছবিতে ইরফান খান ছাড়াও অভিনয় করেছেন পার্ণো মিত্র, রোকেয়া প্রাচী এবং তিশা।
ভারত ও বাংলাদেশের প্রযোজকদের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে ‘ডুব’। ছবিতে বাংলাদেশের শিল্পীরা যেমন আছেন, তেমনই আছেন ভারতীয় শিল্পীরা। ফলে ছবিটি অস্কারে যাওয়ায় খুশি এপার বাংলাও। এই ছবি দিয়েই বাংলা ছবিতে হাতেখড়ি হয় অভিনেতা ইরফান খানের। ছবিটির সহ-প্রযোজকও ছিলেন তিনি। ‘ডুব’ ছবির ভারতের প্রযোজক এসকে মুভিজের হিমাংশু ধানুকা জানিয়েছেন, ছবিটি বাংলাদেশ সরকার অস্কারের জন্য মনোনীত করায় তাঁরা গর্বিত। ইরফানের তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
[ ইসলামপুরের ঘটনায় ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি উসকে বিতর্কে তসলিমা ]