Advertisement
Advertisement
দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন

দুর্গেশগড় আসলে কোথায় জানেন? সন্ধান দিলেন পরিচালক ধ্রুব

অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন 'দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন' পরিচালক।

Durgeshgorer Guptodhon director Dhrubo shares the details of film
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:May 22, 2019 7:53 pm
  • Updated:May 22, 2019 7:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিচালক নিজেই যখন রাঁধুনি হিসেবে পোক্ত, তখন তাঁর রান্নার স্বাদের ছোঁয়া যে ছবিতে মিলবেই, এমনটা আঁচ করাই যায়। এই সপ্তাহেই মুক্তি পাচ্ছে ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন‘। ভ্রমণপিপাসু ইতিহাসের অধ্যাপক সোনাদা তাঁর দুই সঙ্গী ঝিনুক (ইশা সাহা) এবং আবিরকে (অর্জুন চক্রবর্তী) নিয়ে যাচ্ছেন এক ছাত্রের গ্রামের বাড়ি। যেই জায়গার নাম দুর্গেশগড়। প্রাচীন জমিদার বাড়ি তাদের। প্রায় ২৫০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী সেই বাড়ি। যার কোণায় কোণায় রহস্য। শুধু তাই নয়, সেখানে লুকিয়ে রয়েছে বিপুল পরিমাণ গুপ্তধন। তা কোথায় এই দুর্গেশগড়? যেখানে গিয়ে কোমর বেঁধে গুপ্তধন সন্ধানে নেমে পড়েন গোয়েন্দা সুবর্ণ সেন ওরফে আবির চট্টোপাধ্যায়। কীভাবে-ই বা যাওয়া যায় সেখানে? জানালেন পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়।

[আরও পড়ুন:  ভোট মিটতেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ফিরল মোদির ওয়েব সিরিজ]

Advertisement

গোটা ছবির শুটিং হয়েছে ঝাড়গ্রামে। আর ছবিতে দুর্গেশগড়ের প্রাচীন সেই রাজবাড়ি আসলে ঝাড়গ্রাম রাজপ্রাসাদ। ধ্রুব বলেন, “গত বছর জুলাইতে রেকির জন্য গিয়েছিলাম। প্রথম দেখাতেই ঝাড়গ্রাম রাজপ্রাসাদের প্রেমে পড়ে গিয়েছি। দুর্গেশগড় আসলে কাল্পনিক একটা জায়গা। যার পুরোটাই তৈরি করা হয়েছে ঝাড়গ্রামে। দ্বিতীয়বার জানুয়ারি মাসে গেলাম শুটিংয়ের জন্য। প্রায় সিংহভাগ শুট হয়েছে রাজপ্রাসাদ চত্বরের মধ্যে। তাই পুরো জায়গাটা আর ঘুরে দেখার সময় পাইনি। এখানে এরকম অনেক জায়গা রয়েছে, যেগুলো এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। এই সংস্কৃতিসমৃদ্ধ জায়গাগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরা উচিত। আমি সেই প্রচেষ্টাই করেছি দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন-এর মাধ্যমে।”

Advertisement

পরিচালকের মনের মতো ‘দুর্গেশগড়’ গড়ে তোলার জন্য দুর্গেশগড় টিমের তরফে বেশ কিছু অস্থায়ী সেট তৈরি করা হয়েছিল ঝাড়গ্রাম রাজপ্রাসাদের আশেপাশে। শুটিং শেষ। তবে, সেই অস্থায়ী সেট গুলোই যেন আকড়ে রেখেছে শুটিংয়ের স্মৃতি। সেখানকার লোকেরাই নিজেদের মতো করে আগলে রেখেছে। শুটিংয়ের সময় সেটের প্রপ হিসেবে একটি ছাউনি গড়ে তোলা হয়েছিল, আর সেই জায়গাটিই এখন স্থানীয়দের আড্ডাস্থল হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, রাজপ্রাসাদের যেই ঝুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাজা সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করতেন, সেটাও অভিনবভাবে ব্যবহৃত হয়েছে ছবিতে।

[আরও পড়ুন:  ধাঁধা যখন সাত পাকে বাঁধা, ‘বিবাহ অভিযান’ ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ]

অক্সফোর্ডের ইতিহাসের অধ্যাপক সোনাদা। বহুদিন বিদেশে থাকলেও সোনাদা কিন্তু খাঁটি বাঙালি। আবির চরিত্রটা যার মস্তিষ্কপ্রসূত অর্থাৎ ধ্রুব, নিজেই জানান, তাঁর রান্না করার শখ থেকেই ‘খাদ্যরসিক আবির’-এর ভাবনা এসেছে। “ঝাড়গ্রাম প্রাসাদের অতিথিদের রাজকীয় থালি পরিবেশন করা হয়। যাতে রকমারি পদের মধ্যে পোস্তোর বরা আর দেশি মুরগির ঝোল মাস্ট! খেতেও অসাধারণ। ছবিতে খাওয়ার দৃশ্যে সেই দেশি মুরগির ঝোলই পরিবেশন করা হয়েছে,” বলেন পরিচালক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ