গৌতম ব্রহ্ম: রাশিদ খান নেই। মন খারাপ কলকাতার। মন খারাপ গোটা দেশের। আর বিদেশের মাটিতে বসে প্রিয় গায়কের প্রয়াণের খবর পেয়ে মন খারাপ নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে শোকাহত অভিজিৎ জানালেন, ”খুব দুর্দিন এসেছে। কলকাতার আলো কমে গেল। ” নভেম্বরের শুরুতেই মাতৃবিয়োগ হয় অভিজিতের। এবার চলে গেলেন প্রিয় শিল্পী। দুমাসেই কলকাতার প্রতি তাঁর টান অনেকটাই কমে গেল।
২০১৯ সালে নোবেল জয়ের পর ‘সংবাদ প্রতিদিন’-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে রাশিদ খানের গানের প্রতি তাঁর ভালোবাসাকে উজার করেছিলেন অভিজিৎ। শুধু তিনি নন, অভিজিতের গোটা পরিবার রাশিদ খানের গুণমুগ্ধ ছিলেন। সেকথাও জানিয়ে ছিলেন। সেই সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ জানিয়ে ছিলেন, ”আমি শাস্ত্রীয় সংগীত খুব ভালবাসি। বিশেষ করে উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত। অনেকে টেকনিক্যাল বিষয়ের উপর বেশি জোর দেন। আবার অনেকের পিওর মিউজিক্যালিটি আছে। রাশিদ খান গান ধরলেই দু’-তিন সেকেন্ডের মধ্যেই রাগটা চিনে ফেলা যায়। এটা আমার কাছে ভীষণ আশ্চর্য লাগে। প্রত্যেকটা রাগের একটা ইমোশনাল প্রোফাইল আছে। ভাল গায়ক হলে তিনি দেড় মিনিটের মধ্যেই রাগ চিনিয়ে দেবেন।’
রাশিদ খানের প্রয়াণের পর শিল্পীর নস্ট্যালজিয়ায় ভেসে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে তিনি জানালেন, ”নোবেল জয়ের পর আমাকে সবাই জিজ্ঞাসা করেছিল, এই মুহূর্তে আমি কী চাই। আমি বলেছিলাম, রাশিদ খানের সামনে বসে ওঁর কণ্ঠে কিরওয়ানি রাগ শুনতে চাই।” সে ইচ্ছে অপূর্ণই থেকে গেল অভিজিতের। প্রিয় গায়কের প্রয়াণে কলকাতার প্রতিও তাঁর টান যেন গেল হারিয়ে। রাশিদ খানের কণ্ঠ হৃদয়ে রেখেই শিল্পীকে মনে করতে চান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.