Advertisement
Advertisement

Breaking News

ঋতাভরী চক্রবর্তী

মূক ও বধির ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ লাইব্রেরি গড়লেন ঋতাভরী চক্রবর্তী

এই প্রসঙ্গে কী বললেন অভিনেত্রী?

Ritabhari Chakrborty inaugurates library for deaf and dumb school students

মূক ও বধির ছাত্রছাত্রীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছেন ঋতাভরী

Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:July 14, 2019 6:57 pm
  • Updated:July 14, 2019 11:03 pm

সন্দীপ্তা ভঞ্জ: সমাজের প্রতি আমাদের প্রত্যেকেরই একটা দায়বদ্ধতা থাকে। অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নেন। কেউ বা আবার স্বদিচ্ছায় নিজের সামর্থটুকু দিয়ে উজার করে দেন সমাজে পিছিয়ে পড়া কিংবা প্রান্তিকের মানুষগুলির মুখে হাসি ফোটাতে। ঠিক তেমনই একটি কাজে নিজেকে নিয়োজিত করলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। মূক ও বধির ছাত্রছাত্রীদের জন্য বানিয়ে দিলেন একটি আস্ত লাইব্রেরি।

[আরও পড়ুন: কঙ্গনার আর কোনও খবর নয়, সাংবাদিকদের বয়কটকে সমর্থন জানাল প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া ]

Advertisement

নিজেকে নিয়োজিত করলেন বললে অবশ্য ভুল বলা হবে। বিগত ১০ বছর ধরেই তিনি ‘আইডিয়াল স্কুল ফর দ্য ডেফ’ নামে একটি স্কুলের সঙ্গে জড়িত। যেখানকার পড়ুয়ারা মূক এবং বধির। তা বলে কি জ্ঞান আহরণ কিংবা যথাযথ শিক্ষা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে তাঁরা? পিছিয়ে পড়বে সমাজের অন্যান্যদের থেকে? এমন ভাবনা থেকেই সেই স্কুলে একটি লাইব্রেরি বানিয়ে ফেললেন ঋতাভরী। ঋতাভরীর বয়স তখন ১৬। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সময় থেকেই ওঁদের সঙ্গে জড়িত অভিনেত্রী। বিগত দশ বছর ধরেই সেই স্কুলের পাশে থেকেছেন তিনি। এই প্রথম অবশ্য নয়, এর আগেও সমাজের বিভিন্ন স্তরের ছেলে-মেয়েদের জন্য একাধিক কাজ করেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। সেই ভাবনা-চিন্তা থেকেই মূক ও বধির ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে একটি আলাদা লাইব্রেরি গড়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর। আর এই কাজে তিনি পাশে থাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্টারমার্ককে। পাশে পেয়েছেনও। ঋতাভরী চক্রবর্তীর উদ্যোগে তৈরি সেই লাইব্রেরির সদস্য সংখ্যা আপাতত ৭২। তবে খুব শিগগিরিই সেই সংখ্যা বাড়বে বলে বেশ আশাবাদী তিনি।

Advertisement

প্রত্যেকের জীবন গড়ে তুলতে বইয়ের ভূমিকা যে অনস্বীকার্য, তা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। আর মূক এবং বধির ছাত্রছাত্রীদের জন্য আলাদা করে লাইব্রেরি তৈরির কথা সেভাবে কখনও ভাবাও হয় না। স্টারমার্কের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দীর্ঘকালের সেই সাধপূরণই করলেন অভিনেত্রী। প্রচুর সংখ্যক বই দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ওই প্রকাশনী সংস্থা। ঋতাভরী চান, ভবিষ্যতে তাঁর এই উদ্যোগের যেন আরও বিস্তার ঘটে। সম্প্রতি, আনুষ্ঠানিকভাবে সেই বিশেষ লাইব্রেরির উদ্বোধন করলেন অভিনেত্রী। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিশেষ লাইব্রেরির কথা ঘোষণা করার নেপথ্যে ছিল একটাই কারণ। আরও বেশি সংখ্যক মানুষ বাড়িয়ে দিক তাঁদের সাহায্যের হাত, জানালেন ঋতাভরী নিজেই।

[আরও পড়ুন:চন্দ্রযান ২-এর নেপথ্যে দুই রকেট মানবীদের শুভেচ্ছা জানালেন অক্ষয় কুমার]

১৬ বছর বয়স থেকেই ‘আইডিয়াল স্কুল ফর দ্য ডেফ’-এর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যুক্ত ঋতাভরী। তখন থেকেই ওঁদের জন্য কিছু করার কথা ভাবছিলেন। “শুনতে না পাওয়া বা কথা না বলতে পারা যে কতটা কষ্টের, দীর্ঘ দিন ওদের সঙ্গে যুক্ত থেকে বুঝেছি। আমি চাই যাঁরা আমাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করেন বা আমার অনুরাগী, তাঁরাও যেন এই বিশেষ লাইব্রেরিকে আরও বড় করে তুলতে সাহায্যে করেন। আমার বাচ্চাদের জন্য যে কেউ চাইলেই বই তুলে দিতে পারেন শহরের বিভিন্ন জায়গার স্টারমার্কে”, বলেন ঋতাভরী। মে মাস থেকেই এই বিশেষ লাইব্রেরির ভাবনা বাস্তবায়িত করতে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন তিনি। অবশেষে তা বাস্তবায়ন হওয়ায় যারপরনাই উচ্ছ্বসিত ঋতাভরী। তবে তাঁর আনন্দের নেপথ্যে রয়েছে আরও একটি কারণ। ঋতাভরী জানান, যাঁরা এই লাইব্রেরির জন্য সবথেকে বেশি বই দিয়ে সাহায্য করেছেন, সেই ৪ জনই কিন্তু ছিলেন পড়ুয়া। আর ৪ জনের প্রত্যেককেই সেদিন ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ঋতাভরী নিজে। তাঁর ভাবনায় নবপ্রজন্মও যে নিজের উৎসাহে সমাজকল্যাণের কাজে এগিয়ে আসছে, এতেই বেজায় খুশি হয়েছেন তিনি। এমনকী, তাঁদের হাত দিয়ে বাচ্চাদেরকে বইও তুলে দিয়েছেন ঋতাভরী।   

ছবি: শুভেন্দু চৌধুরি

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ