Advertisement
Advertisement
Rukmini Maitra Poila Baisakh 2025

‘এই পয়লা বৈশাখে গলা অবধি কাজে ডুবে রয়েছি, আর দেব ব্যস্ত রঘু ডাকাত নিয়ে’

নববর্ষের পরিকল্পনা নিয়ে ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ডিজিটালে লিখলেন রুক্মিণী মৈত্র।

Rukmini Maitra shares her Poila Baisakh plan
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:April 14, 2025 5:19 pm
  • Updated:April 14, 2025 5:19 pm  

বাঙালির পয়লা বৈশাখ মানেই নস্ট্যালজিয়া। পোশাক থেকে খাবার, আড্ডা থেকে হালখাতা, সবেতেই থাকে বাঙালিয়ানার ছাপ। তবে আজকের বাঙালি কি ততটাই উন্মুখ থাকে নববর্ষ নিয়ে? অতীত স্মৃতিচারণা এবং এবারের নববর্ষের পরিকল্পনা নিয়ে ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ডিজিটালে লিখলেন রুক্মিণী মৈত্র

স্মৃতিতে ডুব দিলে, নববর্ষ মানেই আমার কাছে নতুন জামাকাপড় আর হালখাতার রকমারি মিষ্টি। ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখের শপিং নিয়ে বেশ এক্সাইটমেন্ট কাজ করত। বাকি বাচ্চাদের থেকে মনে হয় আমার মধ্যে সেটা একটু বেশিরকমই ছিল। সে একেবারে দুর্গাপুজোর মতো হইহই কাণ্ড। যেন বছর ঘুরতেই আরেকটা দুর্গাপুজো। পিসি, মাসিরা সকলে আমার জন্য নতুন জামা পাঠাতেন। সেই রীতি অবশ্য এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। তবে তখন সেই জামাগুলো পয়লা বৈশাখে সকাল-বিকেল পরতাম, এখন কাজের চাপে মায়ের দেওয়া জামাটাই পরে উঠতে হয় সময় করে। এই যা…!

Advertisement

এবার পয়লা বৈশাখের জন্য কেনাকাটা কিছুই আমি নিজে করিনি। তবে মা আমার জন্য একটা শাড়ি কিনেছেন। রবিবার সেটা আমার হাতে দিয়ে বললেন- তোমার তো আর কেনাকাটি করার বা এসব মাথায় রাখার সময় নেই। অন্তত পয়লা বৈশাখে এটা পরো। প্রতিবার নববর্ষে যে নতুন জামা পরি, সেটা আসলে মায়েরই দেওয়া। তার সঙ্গে কী কী গয়না পরব? সেগুলো অবশ্য সবই ভেবে ফেলেছি। এবার শুধু সময় বের করে আমার পরার অপেক্ষা। এই পয়লা বৈশাখে আসলে গলা অবধি কাজে ডুবে রয়েছি। বর্তমানে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। ডাবিং এখনও বাকি। আর ১৫ তারিখ অবধি সেই কাজেই ব্যস্ত থাকব। তবে বছরের পয়লা দিন বলে কথা! উপরন্তু নববর্ষে কলকাতাতেই যখন রয়েছি। মা-ও রয়েছেন, তখন কাজ সেরে অবশ্যই বৈশাখী নৈশভোজ হবে। দেব এখন ‘রঘু ডাকাত’-এর শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। তাই এবারের পয়লা বৈশাখে এখনও পর্যন্ত ওঁর সঙ্গে প্ল্যান হয়নি।

নববর্ষের আরেকটা রীতি নিয়ে আমার ভীষণ ইন্টারেস্ট ছিল। সেটা হল, হালখাতাপ্রাপ্ত নতুন বছরের নতুন ক্যালেন্ডার। মনে পড়ে, বাড়িতে পাড়ার সব দোকান থেকে হালখাতার প্রচুর মিষ্টি আর ক্যালেন্ডার আসত। সেটা একটা প্রথার মতোই ছিল। সব প্যাকেট খুলে দেখতাম। এখন তো এই পাড়া-সংস্ক্তিটা অনেক কমে গিয়েছে। অনেক জায়গায় আবার লুপ্তপ্রায়। তখন অবশ্য নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের বিষয়টাই অন্যরকম ছিল। কার বাড়িতে ক’জন রয়েছেন কিংবা কে, কোন খাবার বা মিষ্টি খেতে ভালোবাসে, সেগুলো পাড়া-প্রতিবেশী, স্বজনরা খোঁজ রাখতেন। আমি যেহেতু মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করতাম, এখনও অবশ্য করি। তাই যাঁরা জানতেন, তাঁরা আমার পছন্দের মিষ্টিগুলি পাঠিয়ে দিতেন। এটা আমার কাছে তখন খুব আনন্দের বিষয় ছিল। বড় পাওনাও বলতে পারি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement