সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরিফুল ইসলাম শেহজাদ কি আদৌ সইফ আলি খানের হামলাকারী? বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টে। মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিভাগের রিপোর্ট বলছে, সইফের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গিয়েছে, সেগুলির সঙ্গে ধৃত শরিফুলের আঙুলের ছাপের কোনও মিল নেই।
মুম্বই পুলিশ সইফ আলি খানের বাড়ি থেকে সম্ভাব্য হামলাকারীর ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্টের নমুনা সংগ্রহ করে। এদিকে ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজাদের ১০টি আঙুলের ছাপও পাঠানো হয়েছিল। মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে রীতিমতো চমকপ্রদ তথ্য এসেছে। বলা হচ্ছে, সইফের বাড়ি থেকে পাওয়া ১৯টি নমুনার একটাও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে আদৌ শরিফুলই সইফের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন তো?
শরিফুলের বাবা রুহুল আমিন আগেই প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর ছেলেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বটে কিন্তু সইফের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গিয়েছে সে অন্য লোক। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুহুল আমিন বলেছেন, “সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গিয়েছে তার চুল অনেক বড়। আর আমার ছেলে বরাবর ছোট চুল রাখে। ৩০ বছর বড় চুল রাখেনি সে। অনেকটা সেনাকর্মীদের মতো।” নেটদুনিয়াতেও অনেকে দাবি করেছেন সইফের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গিয়েছে তাঁর সঙ্গে ধৃত শরিফুলের চেহারার কোনও মিল নেই।
তবে, পুলিশ নিশ্চিত শরিফুলই সইফের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদেও পুলিশ এমন তথ্য পেয়েছে যা প্রমাণ করে সেদিন রাতে হামলা চালিয়েছিল শরিফুলই। তাঁর কাছ থেকে বাংলাদেশের নথিও উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলছে না কেন?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.