Advertisement
Advertisement

Breaking News

ট্র্যাক পালটে রোম্যান্টিক ছবি, কেমন হল অনুরাগ কাশ্যপের ‘মনমর্জিয়াঁ’?

ত্রিকোণ প্রেমের রসায়ন জমল?

Manmarziyan movie review
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:September 14, 2018 4:29 pm
  • Updated:September 14, 2018 4:29 pm

চারুবাক: ছবির পরিচালক যখন অনুরাগ কাশ্যপ, যাঁর আস্তিনে ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’ থেকে ‘মাসান’, ‘মুক্কাবাজ’-এর মতো ছবি রয়েছে, তিনি কেন ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ বা শতাধিক ত্রিকোণ প্রেমের বানানো ছবির প্রায় রিমেক করলেন, ভাবলে অবাক লাগে। জনৈক চিত্রনাট্যকার কণিকা ধিঁলোর লেখা গল্পে ও চিত্রনাট্যে তিনি আকর্ষিত কেন, সেটা অবোধ্য।

অমৃতসরের ব্যাকগ্রাউন্ডে ভিকি-রুমি-রুবির গল্প। বাবা মা হারানো রুমি একটু বেশিই স্বাধীনচেতা। দাদু কাকাদেক সংসারে মানুষ। প্রায় চালচুলোহীন ডিজে ফাংকি চেহারার ভিকির প্রেমে মশগুল সে। বোঝাই যায়, প্রেম মানে শরীরী আকর্ষণ। বিয়ের কথা বললে ভিকি এড়িয়ে যায় একাধিকবার। অগত্যা দাদু কাকারা রুমির বিয়ে দেয় লন্ডন থেকে আসা ব্যাংক কর্মী রব্বির সঙ্গে। তারা হানিমুনেও যায় কাশ্মীর। কিন্তু রুমি যে চোখ খুললে এবং বুজলেও ভিকির ম্যাচো চেহারাটাই দেখে। সংযত শিক্ষিত রব্বির সঙ্গে বিয়েটা টেকে না। মাঝেমধ্যে ভিকি-রুমি একান্তে দেখা করে। মিলিত হয়। কিন্তু ছবির সমাপ্তি তো জানাই। বিচ্ছেদের কাগজে দু’জনেই সই করে। বাড়ি ফেরার পথে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রিওপেন করে এবং রবির জানায় হানিমুনের দুটো দিন তখনও ট্রাভেল এজেন্টের কাছে পাওনা আছে। সুতরাং ‘নিজের মর্জি মতো আমাকে গড়ে নাও’ গান শুনতে শুনতে দু’জনেই আলিঙ্গনবদ্ধ। আর ভিকি তখন সমুদ্র পেরিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় হয়তো ট্যাক্সি চালাচ্ছে। ভারতীয় সনাতন বিবাহ ব্যবস্থার বাইরে যাওয়ার সাহস অনুরাগের মতো মানুষও দেখাতে পারলেন না, এটাই আশ্চর্যের।

Advertisement

সমাজের ভেদাভেদ নিয়ে কোন বার্তা দিল ‘টুসকি’? ]

Advertisement

তবে হ্যাঁ। অতীতের ত্রিকোণ প্রেমের ছবির সঙ্গে ‘মনমর্জিয়াঁ’ মেকিংয়ের বড় তফাৎ। অনুরাগের চরিত্রের পরিকল্পনা, দৃশ্যের উপস্থাপনা, ক্যামেরার কোরিওগ্রাফি অত্যন্ত আধুনিকমনস্ক। সবচেয়ে ভাল লেগেছে অমিত ত্রিবেদীর সুরে গান এবং আবহ দুই-ই। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল ‘মনমর্জিয়াঁ’ যতটা অনুরাগের, তার চাইতে বেশি অমিতের ছবি। আর আছে তিনজন শিল্পীরই অনবদ্য অভিনয়। প্রায় নতুন মুখ ভিকি কৌশল শুধু ফিজিক্যাল মুভমেন্টেই নয়, অভিনয়েও চরিত্রটির ম্যাচো ইমেজ এবং অনিশ্চয়তা ফুটিয়ে তুলেছেন। তাপসী পান্নু ‘মুলক’-এর পর এ ছবিতে তাঁর সপ্রাণ অভিনয়ের ঝলক দেখিয়েছেন। আর অভিষেক বচ্চন! তিনি রব্বি চরিত্রের মেজাজ গঠন বুঝেই বেশ সংযত। সভ্রম আদায়কারী। কিন্তু শোয়ের শেষে কোনও দর্শক প্রশ্ন করতেই পারেন, এমন গদগদে ত্রিকোণ প্রেমের গল্প শুনতে অনুরাগের ছবি দেখতে যাব কেন?

দেশাত্মবোধকে হাতিয়ার করে দর্শকদের মন পেল কি অক্ষয়ের ‘গোল্ড’? ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ